চট্টগ্রাম: বাঁশখালী থানার কালীপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ৪৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ৩টি মামলা করেছে পুলিশ। এতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত তিন থেকে চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে বাঁশখালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩শ থেকে ৪শ জনকে আসামি করে ৩টি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বিএনপি একটি মিছিল বের করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষে এএসপি (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির, ওসি কামাল উদ্দিন, এসআইসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে জানিয়েছেন বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে রাস্তায় উঠে গাড়ি ভাংচুর করতে চেয়েছিল। তখন তাদের রাস্তায় ওঠা যাবে না বললে পুলিশের ওপর হামলা করে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা বাঁশখালীতে সমাবেশ করেছি। এরপর একটি মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে। আমাদের ৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এমআই/টিসি