ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আরও দু’দিন বাড়লো গণপরিবহন জরিপ কার্যক্রম 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
আরও দু’দিন বাড়লো গণপরিবহন জরিপ কার্যক্রম 

চট্টগ্রাম: নগরে চলাচল করা  গণপরিবহনের জরিপ কার্যক্রমের সময় আরও দুইদিন বৃদ্ধি করেছে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি (আরটিসি)।  

শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় শেষ হয় জরিপ কার্যক্রম।

অনেক গাড়ি উপস্থিত হতে না পারায় আরও দুইদিন সময় বাড়ানো হয়। নগরের জমিয়তুল ফালাহ মাঠে ১ নম্বর রুট থেকে ১৮ নাম্বার রুট পর্যন্ত চলাচলরত বাস-মিনিবাসের জরিপ শুরু করে এ কমিটি।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে গাড়িগুলো হাজির করা হয়।

জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট থেকে শুরু হয় জরিপ কার্যক্রম। এসময়ের মধ্যে যে সমস্ত গাড়ি জরিপ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেনি। সেসমস্ত গাড়িগুলোর জন্য আরও দুদিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ২৮ ও ২৯ তারিখও জরিপ কার্যক্রম চলবে। ১ নম্বর রুট থেকে ১৮ নম্বর রুট পর্যন্ত এবং ইপিজেড স্পেশাল সার্ভিসসহ রুট পারমিট ইস্যুকৃত ১ হাজার ১২০টি এবং আবেদিত ১৬৭ টি গাড়ীর মধ্যে জরিপে অংশ গ্রহণ করে ৮৮৫ টি। তাই বাকি গাড়িগুলোও যাতে জরিপে অংশ নিতে পারে সেজন্য আরও দুইদিন অতিরিক্ত সময় বাড়ানো হয়।

এদিকে, নগরে ১৮টি রুটে চলাচল উপযোগী (সিলিং) বাস-মিনিবাস  রয়েছে ১ হাজার ৫৭৫টি। কিন্তু এসব রুটে বর্তমানে ১ হাজার ১২৫টি বাস-মিনিবাস চলাচল করছে। সিলিং (গাড়ি চলাচলের উপযোগী) খালি রয়েছে ৪৫০টি।

বাস-মিনিবাস কমিটির আহ্বায়ক ও সিএমপি উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, নগরে কী পরিমাণ বাস-মিনিবাস রয়েছে আর কী পরিমাণ চলাচল করছে তা কিছুদিন পর পর জরিপ করা দরকার। তারই অংশ হিসেবে ১০ আগস্ট থেকে বাস-মিনিবাসগুলো জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়। আজ শনিবার শেষ হয়েছে এ কার্যক্রম। কিন্তু এসময়ের মধ্যে যারা উপস্থিত হতে পারেনি তাদের জন্য আরও দুইদিন সময় বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এ জরিপের মাধ্যমে এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলাচল করছে কি-না, সিলিং অনুযায়ী ওই রুটে সব গাড়ি চলে কি-না, রুটে গাড়ি কয়টি আছে আর কয়টি নেই, রুটে নতুন কোনো গাড়ি অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন আছে কি-না, বাস-মিনিবাসগুলোর ইকোনমিক লাইফ (বয়স) পার হওয়ার পরও চলাচল করছে কি-না, চললেও কী পরিমাণ চলছে ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, প্রত্যেক বাস-মিনিবাস মালিককে রুট ভিত্তি কার্যক্রমের নির্দিষ্ট তারিখে গাড়ি ও গাড়ির যাবতীয় কাগজ নিয়ে হাজির থাকতে হবে। জরিপে বাসের চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে কি-না তা সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। জরিপ চলাকালীন অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া জরিপকৃত কাগজপত্রের কোনো প্রকার ছবি তোলা যাবে না।

গত ২৩ মে’র আরটিসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস-মিনিবাস জরিপ কমিটি ঘোষণা করে নগর আরটিসি’র সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীনকে।

সদস্য হিসেবে আছেন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ, ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রইছ উদ্দিন, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মমতাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের পরিদর্শক (টিআই) প্রশাসন জহুরুল ইসলাম সরকার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মলিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অতিরিক্ত মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা পরিবহন বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০,০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
বিই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।