ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই খাস্তগীর স্কুল থেকেই শুরু প্রীতিলতার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
সেই খাস্তগীর স্কুল থেকেই শুরু প্রীতিলতার  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ছিল প্রীতিলতার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯১৮ সালে এই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন তিনি।

শত বছর পর আবারও শৈশবের সেই স্কুল থেকেই যাত্রা শুরু প্রীতিলতার। তবে এবার তা সেলুলয়েডের পর্দায়।
জাতির এ অগ্নিকন্যাকে নিয়ে নির্মিত দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’র প্রচারণা শুরু হয় এ স্কুল থেকে।

বুধবার (২ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রচারণার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আক্তার। সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত।

এসময় বীরকন্যা প্রীতিলতা চলচ্চিত্রটির পরিচালক প্রদীপ ঘোষ বলেন, প্রীতিলতার সেই শৈশবের স্কুল থেকেই আমরা প্রচারণা শুরু করছি। এর পিছনে একটি মাত্র কারণ। আমরা চাই এ প্রজন্মের শিশুরা প্রীতিলতা সম্পর্কে জানুক। এর জন্য আমরা উদ্যোগও নিয়েছি। প্রদর্শনীর সময় স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ডিসকাউন্ট কূপনের ব্যবস্থা থাকবে।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, যে যুগে নারীদের অবলা বলে মনে করা হতো, সে যুগে প্রীতিলতা যুদ্ধ করেছেন। ইংরেজদের মেরে নিজেকে আত্মাহুতি দিয়েছেন। এমন মহীয়সীই  এখন সমাজের প্রতিকৃত। সারা ভারতবর্ষ যখন ইংরেজ শাসকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তখন সূর্য সেনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বিরোধীরা চট্টগ্রামকে চার দিনের জন্য স্বাধীন করে রেখেছিল।  

তিনি বলেন, প্রীতিলতাকে কেউ স্মরণ করুক আর না করুক চট্টগ্রামের পরিবেশ, প্রকৃতি সব সময় স্মরণ করছে। সূর্যসেন, প্রীতিলতা আমাদের শিখেছেন আপোষ নয়, সংগ্রাম করে কিভাবে নিজের অধিকার আদায় করতে হয়।  

সভাপতির বক্তব্যে রানা দাশ গুপ্ত বলেন, বাড়ির জমি আছে প্রীতিলতার। কিন্তু বাড়ি নাই। সম্পত্তির দখল অন্যদের হাতে চলে গেছে। এ বাস্তবাতায় দাঁড়িয়ে বীরকন্যা প্রীতিলতাকে নিয়ে যে চলচ্চিত্র আমাদের দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে এটি একটি নতুন ইতিবাচক হিসেবে সব সময় বিবেচিত হবে। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে সূর্যসেন, প্রীতিলতা, ক্ষুদিরাম কিংবা তীতুমীরের নাম আমরা যেভাবে উচ্চারণ করেছি, স্বাধীনতার পরে সে নামগুলো আজ আর উচ্চারিত হয় না। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। তাই শেকড়ের সন্ধান করতে হলে অবশ্যই এমন বীর নেতৃত্বকে মনে রাখতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।