ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জাতীয় সংগীত অবমাননা, মমতার বিরুদ্ধে রায় ১২ জানুয়ারি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
জাতীয় সংগীত অবমাননা, মমতার বিরুদ্ধে রায় ১২ জানুয়ারি!

কলকাতা: ভারতের জাতীয় সংগীত অবমাননা করা হয়েছে, এমন অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার রায় আগামী ১২ জানুয়ারি দিতে পারেন মুম্বাইয়ের মাঝগাঁও নগর দায়রা আদালত।  

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভারতের আইনি বিষয়ক মাধ্যম ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’এ খবর, প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি-বিরোধী দলগুলো একত্র করার লক্ষ্যে, ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর মুম্বাই গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতারের ব্যবস্থাপনায় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন মমতা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। বিজেপি নেতার অভিযোগ, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপরই নগর দায়রা আদালতে মামলা করেন তিনি।

মুম্বাইয়ের ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ ছিল, ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানে মমতা প্রথমে বসা অবস্থায় জাতীয় সংগীত গেয়েছেন, তারপর উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে থাকেন। এরপর পুরো জাতীয় সংগীত না গেয়েই; জয় বাংলা, জয় মহারাষ্ট্র স্লোগান দিয়ে ওঠেন। এরপর মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এতেই আপত্তি জানিয়ে জাতীয় সংগীতের অবমাননার অভিযোগ করে, মাঝগাঁওয়ের নগর দায়রা আদালতে মামলা করেন মুম্বাইয়ে বিজেপি সম্পাদক বিবেকানন্দ গুপ্ত।

২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করে মাজগাঁওয়ের নগর দায়রা আদালত। সেই সমনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী পালটা মুম্বাইয়ের আদালত আবেদন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনিক অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই জবাবের পাল্টা অবস্থান নেয় মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার।

সেই সময় মমতার জবাবের মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী দাবি করেন, মমতার ওই সফর ছিল রাজনৈতিক। তার বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীতের অবমাননার অভিযোগও উঠেছে রাজনৈতিক মঞ্চেই। সেটা কোনও সরকারি অনুষ্ঠান ছিল না। তাই মমতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য কোনও সরকারি অনুমতির প্রয়োজন নেই। আগামী ১২ জানুয়ারি মুম্বাই আদালত সেই মামলার রায় দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৩
ভিএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।