আগরতলা (ত্রিপুরা): বিশালগড়ের পর এবার কাঞ্চনপুরে ঘূর্ণি ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গেছে চার শ’র বেশি বাড়ি। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন।
এদিকে বুধবার রাতে বজ্রপাতে ত্রিপুরার অম্পি এলাকা এবং আগরতলায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মৃত দু’জনই কৃষক বলে জানা গেছে। আগরতলায় বজ্রপাতে যিনি মারা যান তার নাম সুনীল চন্দ্র দাস এবং অম্পিতে যিনি মারা যান তার নাম রনরাম রিয়াং।
কাঞ্চনপুরের রিয়াং শরণার্থী শিবিরে বুধবার আছড়ে পড়ে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। শরণার্থী শিবিরের প্রায় চারশো ঘর তছনছ হয়ে গেছে এই ঝড়ে। ভেঙে পড়েছে সমস্ত বিদ্যুতের খুঁটি এবং টেলিফনের পোস্ট। গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে আছে রাস্তা। ফলে ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেও এলাকায় ঢুকতে পারছেন না উদ্ধারকারী দল।
ঝড়ের তিন দিন পরেও ক্ষয় ক্ষতি সম্পূর্ণ নিরুপন করা যায়নি বিশালগড়ে। গত ৩০ এপ্রিল সেখানে ৮০ কিলোমিটার বেগে টর্নেডো বয়ে যায়। ওই মারাত্মক ঝড়ে আহত হন দেড়শর বেশি মানুষ। ভেঙে যায় তিনশর বেশি ঘরবাড়ি। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির যে হিসাব হয়েছে, তাতে দেখা গেছে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দশ কোটি টাকা। এ খবর জানিয়েছেন সিপাহীজলা জেলার জেলা শাসক কৃষ্ণ দুলাল চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১২
টিসি/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর