কলকাতা : রেল পুলিশের হাতে এক হকার নিহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার উত্তপ্ত হলো বীরভূমের বোলপুর রেলস্টেশন। রেল পুলিশের এএসআই এ কে চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওই হকারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।
তপন দাস নামে ওই হকারের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বোলপুর স্টেশন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্টেশনের জিআরপি, আরপিএফ অফিসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা৷ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এক পুলিশকর্মীর মোটর বাইকে৷ ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল৷ দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা৷
এ তাণ্ডবের জেরে বোলপুর থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস৷ প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ট্রেনের মধ্যেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা৷
রেল পুলিশের অভিযোগ, বাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মারধর করা হয় বোলপুর থানার এএসআই মানব চক্রবর্তীকে৷ তাকে বোলপুরে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়৷ মারধর করা হয় জিআরপি কর্মীদেরও৷
উত্তেজনা চরমে উঠলে সোয়া ৩টা নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলান বীরভূমের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর৷
তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে৷ তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের অবশ্য দাবি, পুরোটাই সিপিএমের চক্রান্ত৷ সিপিএম অবশ্য এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে৷
তাদের পাল্টা দাবি, সিটুর সদস্য ওই হকারের মৃত্যুকে ঘিরে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে। মৃত হকারের পরিবারের জন্য রেলের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে৷
বাংলাদেশ সময় : ২১৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর