কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের ৬টি পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হয়েছে মঙ্গলবার। পরিবর্তনের হাওয়ায় ৪টি পৌরসভা দূর্গাপুর, পাঁশকুড়া, ধুপগুড়ি ও নলহাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হলেও বহুচর্চিত নন্দীগ্রাম লাগোয়া হলদিয়া পৌরসভা নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে বামফ্রন্ট।
অন্যদিকে, নদীয়ার কুপার্স ক্যাম্পে ফের ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস।
জনসমর্থন ধরে রাখা আর মমতা ম্যাজিক এ নির্বাচনে তৃণমূলের প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল। যদিও জোট শরিক কংগ্রেসের সঙ্গে তারা এবার একত্রে না লড়ে পৃথকভাবেই পৌর নির্বাচনে নেমেছিল। অন্যদিকে, বামেদের কাছে এ নির্বাচন ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার চ্যালেঞ্জ।
মঙ্গলবার ভোট গণনার ফলাফলে দেখা গেছে, নদীয়ার কুপার্স ক্যাম্পে পুরবোর্ড গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। কুপার্স ক্যাম্পে ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস ৷ ভোট গণনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছিল এখানে ৷ কংগ্রেসের দখলেই ছিল কুপার্স ক্যাম্প পৌরসভা ৷ এখানে জোট সঙ্গী তৃণমূল মাত্র ১টি ওয়ার্ড পেলেও বামেরা কোনো ওয়ার্ডে জিততে পারেননি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া পৌরবোর্ড ফের নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হয়েছে বামফ্রন্ট। ২৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতেই জয়ী হয়েছে বামফ্রন্ট। তৃণমূল পেয়েছে ১১টি ওয়ার্ড।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী গত বোর্ডের চেয়ারম্যান তমালিকা পন্ডা শেঠ। হলদিয়ায় পুরভোটের গণনা হয় গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড হাইস্কুলে। ভোটের দিন সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল হলদিয়া ৷ তাই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এখানে ৷
এ জেলার পাশঁকুড়ায় ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে তৃণমূল এবং ৫টিতে সিপিএম জয়ী হয়েছে। এ পৌরবোর্ড তাই তৃণমূলেরই দখলে থাকলো আবারও।
বীরভূমের নলহাটিতে বোর্ডও দখল করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১টি ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি। তৃণমূল ৮টি ও কংগ্রেস ৩ এবং বামফ্রন্ট জয়ী হয়েছে ৩ ওয়ার্ডে।
এতো দিনের বামদুর্গ হিসেবে পরিচিত বর্ধমানের দুর্গাপুরের ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে তৃণমূল এবং ৮টিতে ও বামফ্রন্ট ১টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি।
জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে পৌরবোর্ড বামফ্রন্টের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। গত বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে এই পুরসভায় এগিয়ে ছিল বামফ্রন্ট। এবারের পুর নির্বাচনে ধস নেমেছে এই বামদুর্গে। ১৬ ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতে তৃণমূল ও ৪টিতে বামফ্রন্ট ও বিজেপি ১টিতে জয়ী হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর