কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে তীব্র দাবদাহের জেরে মৃতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবারেই তাপপ্রবাহে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।
এই নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৬০ জনের মৃত্যু হল রাজ্যে। এর মধ্যে বর্ধমানের আসোনসোলেই মারা গেছেন ৩২ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঝাড়গ্রামে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলির চুঁচুরা, মগরা এবং তারকেশ্বরে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার সোদপুরের ঘোলা থেকে।
বাঁকুড়ার সুতিঘাট, পুরুলিয়া শহর, বর্ধমানের কাটোয়াতেও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। খড়গপুরে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
কলকাতায় মারা গেছেন ২জন। সোমবার মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের। প্রত্যেকটি মৃত্যুই প্রাথমিকভাবে গরমের কারণে হয়েছে বলে মনে করা হলেও ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কলকাতাজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অতিরিক্ত আপেক্ষিক আদ্রতা এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য বেড়েছে অস্বস্তি সূচকও।
মঙ্গলবার অস্বস্তিসূচক পৌঁছে য়ায় ৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ছুঁয়েছে। এর থেকে আপাতত রেহাই মেলার সম্ভাবনা আপাতত দেখাতে পারছে না আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিন কলকাতার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে পৌছে যায় ফলে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদের কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির কারণে সাময়িক স্বস্তি মিললেও এদিনও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর তাপমাত্রা ৪৫ ছাড়িয়েছে।
বর্ষা না আসা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশের উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঢুকছে গরম হাওয়া। ফলে দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থির অবনতি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর