ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

১২ বছর পর কোচবিহার জেল থেকে মুক্ত কুড়িগ্রামের মিলটন

রক্তিম দাশ, ব্যুরো চিফ, কলকাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১২
১২ বছর পর কোচবিহার জেল থেকে মুক্ত কুড়িগ্রামের মিলটন

কোচবিহার: দীর্ঘ ১২ বছর পর অবশেষে মুক্তি পেয়ে নিজ দেশে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো কোচবিহার জেলে বন্দি বাংলাদেশি আশিক ইকবাল মিলটন।

শনিবার কোচবিহারের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক তাকে বেকসুর খালাস দেন।



আশিক ইকবাল মিলটন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারির কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন।

২০০০ সালে ১১ ডিসেম্বর দিনহাটা মহকুমার সাহেবগঞ্জে যাত্রা দেখতে এসেছিলেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিলটন। প্রথমে বেআইনি অনুপ্রবেশের দায়ে দিনহাটা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ তাকে গ্রেফতার করে। ২০০১-এর ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় দিনহাটা আদালত আশিককে কারাদণ্ড দেয়।

ওই বছরের ১০ ফ্রেব্রুয়ারি তুফানগঞ্জ থানায় ও ২০০২-এর ২০ জানুয়ারি মেখলিগঞ্জ থানায় কে এলো জঙ্গি মিলটনের সঙ্গে তার নামের মিল থাকায় তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করে পুলিশ।

আশিক ইকবালের আইনজীবী আবদুল জলিল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, “তুফানগঞ্জ থানার মামলায় ইকবাল আগেই নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এদিন দেশদ্রোহিতাসহ অন্য মামলাতেও বিচারক তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ”

তিনি বলেন, মিলটনকে সাহেবগঞ্জে গ্রেফতার করে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধে বিদেশি আইনের ১৪ (এফ) ধারায় মামলা রজু করা হয়। দিনহাটা পিএস কেন নম্বর ২৭৩/২০০০ এবং জিআর কেস নম্বর ৩৪১/২০০০। ২০০১ এর ১২ ডিসেম্বর তার সাজা হয় ৬১ দিনের বিনাশ্রমে কারাবাস ও ৩০০ রুপি জরিমানা অনাদায়ে আরও ১০ দিন কারাবাস।

এরপরই ২০০১-এর ১০ ফেব্রুয়ারি তুফানগঞ্জ থানা থেকে কে এলো জঙ্গি মিলটন ভেবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তার সঙ্গে জিআর কেস নম্বর ১৮/২০০০ জুড়ে দিয়ে আদালতে ফের হাজির করা হয়। একই সঙ্গে ২০০২-এর মেখলিগঞ্জ দুটি মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এই সময় অন্যান্য আইনি ধারার সঙ্গে ১৪ (এ) ধারাও দেওয়া হয়।

কয়েকমাস আগে মিলটনের আটক থাকার সংবাদটি প্রথম ২৬ জুন ২০১২-তে বাংলানিউজ বের হওয়ার পর কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গান্ধির দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়। তিনি বিষয়টি দ্রুত দেখবেন বলে জানান।

এদিন কোচবিহারের অতিরিক্ত সেশন জজ সেকেন্ড ট্র্যাক কোর্ট স্মরজিৎ মজুমদার মিলটনকে বেকসুর খালাস বলে রায় দেন। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে মিলটন বলেন, ‘বাংলাদেশে মার কাছে ফিরে যেতে চাই। ’

এদিন তাকে নিয়ে যান ভারতে বসবাসরত তার ফুফাতো বোন বেবি ও তার জামাই মনিরুল ইসলাম। তারা থাকেন তুফানগঞ্জের মরিচবাড়িতে।

বেবি বলেন, ‘আমরা দ্রুত মিলটনকে এখন পিসির কাছে পাঠাতে চাই। ’ তিনি মিলটনের মুক্তির বিষয়ে মানবধিকার সংগঠন, সংবাদমাধ্যম সহ সকলকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।