ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘নির্দোষ মিল্টনের দেশে ফিরতে আরও ২মাস’

শিলিগুড়ি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১২
‘নির্দোষ মিল্টনের দেশে ফিরতে আরও ২মাস’

শিলিগুড়ি: আদলতের বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও নিজ দেশে ফিরতে আরও ২ মাস সময় লাগবে কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশিক ইকবাল মিল্টনের।

সোমবার কোচবিহার জেলা সংশোধনাগার সুত্রে জানা গেছে, আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে আবার সংশোধনাগার(জেল)এ নিয়ে আসা হয়েছে।

গত প্রায় ১২ বছর ধরে এটাই এখন তার ঠিকানা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার কোচবিহার আদালতে মিলটনকে নিতে আসা ভারতে তুফানগঞ্জের মরিচবাড়িতে বসবাসরত তার ফুফাতো বোন বেবি ও তার স্বামী মনিরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হবে।

যদিও এবিষয়ে কোচবিহারের সংশোধনাগারের সুপার পল্লব চক্রবর্তী কোনো মন্তব্য করতে চাননি এদিন।

উল্লেখ্য, আশিক ইকবাল মিলটন বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারির কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন।

২০০০ সালে ১১ ডিসেম্বর দিনহাটা মহকুমার সাহেবগঞ্জে টলিউডের নায়িকা রুপা গাঙ্গুলি নাইট নামক জলসা দেখতে এসেছিলেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিলটন।

প্রথমে বেআইনি অনুপ্রবেশের দায়ে দিনহাটা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ তাকে গ্রেফতার করে। ২০০১-এর ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় দিনহাটা আদালত আশিককে কারাদণ্ড দেয়।

ওই বছরের ১০ ফ্রেব্রুয়ারি তুফানগঞ্জ থানা ও ২০০২-এর ২০ জানুয়ারি মেখলিগঞ্জ থানা জঙ্গি মিলটনের সঙ্গে তার নামের মিল থাকায় তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করে পুলিশ।  

মিলটনকে সাহেবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধে বিদেশি আইনের ১৪ (এফ) ধারায় মামলা রজু করা হয়। দিনহাটা পিএস কেস নম্বর ২৭৩/২০০০ এবং জিআর কেস নম্বর ৩৪১/২০০০।

২০০১ এর ১২ ডিসেম্বর তার সাজা হয় ৬১ দিনের বিনাশ্রমে কারাবাস ও ৩শ রুপি জরিমানা অনাদায়ে আরও ১০ দিন কারাবাস।

এরপরই ২০০১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তুফানগঞ্জ থানা থেকে কে এলো জঙ্গি মিলটন ভেবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তার সঙ্গে জিআর কেস নম্বর ১৮/২০০০ জুড়ে দিয়ে আদালতে ফের হাজির করা হয়।

একই সঙ্গে ২০০২-এর মেখলিগঞ্জ থানার দুটি মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এই সময় অন্যান্য আইনি ধারার সঙ্গে ১৪ (এ) ধারাও দেওয়া হয়।

মিলটনের আটক থাকার সংবাদটি প্রথম গত ২৬ জুন বাংলানিউজে প্রকাশ হওয়ার পর কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গান্ধীর দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়। তিনি বিষয়টি দ্রুত দেখবেন বলে জানান।

গত শনিবার কোচবিহারের অতিরিক্ত সেশন জজ সেকেন্ড ট্র্যাক কোর্ট স্মরজিৎ মজুমদার মিলটনকে বেকসুর খালাস বলে রায় দেন। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে মিলটন বলেন, ‘বাংলাদেশে মার কাছে ফিরে যেতে চাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।