ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

প্রচার শেষ করলেন মোদি-মমতা, ১৯ এপ্রিল ভোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
প্রচার শেষ করলেন মোদি-মমতা, ১৯ এপ্রিল ভোট

কলকাতা: আগামী ১৯ এপ্রিল ভারতে হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। ওইদিন দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রথম ধাপের ভোটের প্রচার শেষ।  

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে আরও একবার ভোট প্রচারণা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে বাংলায় সপ্তমবার ভোট প্রচারণা চালালেন মোদি। এদিন দুপুরে প্রথমে বালুরঘাটে জনসভা করেন। বিকেলে আরও একটি জনসভা করেন রায়গঞ্জে।  

উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা সভা করেন জলপাইগুড়ির আসনে। পরে তিনি শিলিগুড়িতে পদযাত্রা করেন। অন্যদিকে অভিষেক প্রথম জনসভা করেন কোচবিহারে। তারপর রোড শো করেন আলিপুরদুয়ারে।

মূলত রাজ্যের বালুরঘাটে ১৫ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে। এই সেই সঙ্গে তফশিলি জাতির ভোট প্রায় ২৭ শতাংশ। বালুরঘাটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতিও।

রাষ্ট্রপতির আসনে আদিবাসী নারী দ্রৌপদী মুর্মুকে বসানোর সময় বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আদিবাসী সমাজের ভোট বিজেপির ঝুলিতে নিয়েই তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার সোপান তৈরি করতে চান তিনি।  

তখন থেকেই বিজেপি আদিবাসী সমাজকে শ্রদ্ধা করে উন্নতি চায়, দেশজুড়ে এমন প্রচার শুরু করে। আর পশ্চিমবঙ্গের বৃহৎ সংখ্যায় আদিবাসী ভোটার থাকা বালুরঘাটে প্রচারে এসে সেই বার্তা স্পষ্ট করে গেলেন মোদি।

এরপরের রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পালের হয়ে প্রচারণা চালান প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও তৃণমূলের দুর্নীতি, ভ্রষ্টাচার নিয়ে সরব হন মোদি। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি রুপি উদ্ধার হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিজেদের কাজে গেলে, দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের (সিএএ) বিরোধিতা করছে, যা আইনিভাবে নাগরিকত্ব দিচ্ছে শরণার্থীদের।

মোদি বলেন, গোটা বাংলা বলছে, ৪ জুন চারশ পার করবে বিজেপি। মূলত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা। বিজেপির দাবি, চলতি লোকসভা ভোটে সারাদেশে চারশর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে তারা। তা নিয়েই স্লোগান দেন নরেন্দ্র মোদি।

অপরদিকে জলপাইগুড়ি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, কোটি কোটি অর্থ খরচ করে ভিডিও বানাচ্ছে বিজেপি। ওগুলো বিশ্বাস করবেন না। তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমি জানি বিজেপির প্ল্যান আছে বাংলায় অশান্তি বাঁধানোর, আমরা অশান্তি চাই না, দাঙ্গা চাইনা, শান্তি চাই। ওইসব অশান্তি করে ওরা ভোট দখল করবে। তারপর দেশ বেঁচে দেবে। আমি হাতজোড় করে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুদের বলছি, কেউ অশান্তি করতে দেবেন না।

মমতা বলেন, আমি আগামীকাল আসাম যাব। ওইখানে চারটি আসনে তৃণমূল লড়াই করছে। এনআরসি (নাগরিকপঞ্জি) করে  আসামে ১৯ লাখ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ দিয়েছিল। আমরা লড়াই করেছিলাম। পশ্চিমবঙ্গে সিএএ হতে দেব না। এনআরসি করতে দেব না।

এদিন মমতা বলেন, ভোটের আগে ক্যা ক্যা করে ওরা চিল্লাচ্ছে। মনে রাখবেন, ক্যা হচ্ছে মাছের মাথা। আর লেজ হচ্ছে এনআরসি। অর্থাৎ সিএএর মাধ্যমে পরে এনআরসি করিয়ে আপনার নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেবে। মানুষের সরকারি অধিকার সব কেড়ে নেবে। পরে তাদের আসামের মতো ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে। প্রমাণ করার চেষ্টা করবে তারা বাংলাদেশি। এটা ভালো না খারাপ, আপনারা নিজেরা বুঝে নিন।  

প্রসঙ্গত, মমতা সিএএ-কে ক্যা বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।