কলকাতা থেকে: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে শুক্রবার। সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হবে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দলের ১ হাজার ৭৯২ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৯৪ ‘এমএলএ’ নির্বাচিত হবেন শুক্রবার। গত ১৮ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত ৬ দফায় নির্বাচনে ভোটারদের দেওয়া রায় ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন’ (ইভিএম)-এ সংরক্ষিত রয়েছে। এসব মেশিন থেকেই ফলাফলগুলো সমন্বয় করে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
নিছক রাজনৈতিক কৌতূহল নয়, রীতিমতো উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা আর কয়েকটি প্রহরের। রাজনৈতিক নেতানেত্রী বা দলের ‘ভাগ্য নির্ধারণ’ নয়, এবারের নির্বাচনী ফলাফলে যে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ, রাজ্যবাসীর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে থাকবে ওতপ্রোতভাবে, বলছেন এখানকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ভোটের ফল নিয়ে এই উত্তেজনা উৎকণ্ঠা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। গোটা ভারতই তাকিয়ে আছে শুক্রবারের ফলাফলের দিকে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও কেরালা, তামিলনাডু, আসাম, এবং পুদুচেরিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে এবার। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে ঘিরেই।
লালপতাকা তুলে ধরার ‘মরণপণ’ সংগ্রামের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশ, সারা বিশ্ব। ভারতের জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতিও নির্ভর করে আছে এদিনের ফলাফলের ওপরে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের নজরও এখন এ রাজ্যের দিকে। বিশেষ করে এখানকার কমিউনিস্ট দলগুলোর ফল কী হয় তা দেখতেই আগ্রহী অনেকে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক সাংবাদিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক এখন কলকাতায় রয়েছেন।
ভোট গণনা:
রাজ্যের ৮৭টি স্থানকে ভোট গণনা কেন্দ্র হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সবমিলিয়ে ৩১২টি গণনা হল তৈরি করা হয়েছে। এসব হলে ৪ হাজার ৬০৫টি টেবিলে ভোট গণনা করবেন প্রায় ১৪ হাজার ভোট কর্মী। এছাড়া প্রতিটি গণনা টেবিলে একজন করে অবজার্ভার, কাউন্টিং অফিসার ও একজন অতিরিক্ত কাউন্টিং অফিসার নজরদারি করবেন।
ভোট গণনার পুরো প্রক্রিয়াটি একাধিক ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ডিং করা হবে এবং তা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হবে।
সকাল আটটার মধ্যে স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম আনা হবে গণনা কেন্দ্রে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। এরপর হবে ইলেকট্রনিক ভোট গণনা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১১