ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তনু হত্যার প্রতিবাদে দিল্লিতে মানববন্ধন করতে দেয়নি পুলিশ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
তনু হত্যার প্রতিবাদে দিল্লিতে মানববন্ধন করতে দেয়নি পুলিশ

নয়াদিল্লি: সোহাগী জাহান তনুর হত্যার প্রতিবাদে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির (সাউ) শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করতে দেয়নি দিল্লি পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে সাউয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে দিল্লির চানক্যপুরী বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্দেশে রওনা দিলে তাদের হাই কমিশন থেকে কয়েক শ’ মিটার দূরে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ।

শিক্ষার্থীরা যাওয়ার আগ থেকেই হাই কমিশনে যাওয়ার সড়ক রাধাকৃষ্ণ মার্গে বেরিকেড দিয়ে আটকে রাখে পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ হাই কমিশন কর্তৃপক্ষের আহ্বানে দিল্লি পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। তনু হত্যার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার ব্যাপারে হাই কমিশন কর্তৃপক্ষকে আগে থেকেই জানানো হলেও এ বাধা দেওয়া হয়। তবে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার ও হেড অব চ্যান্সেরি জানান, হাই কমিশন এলাকায় নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব দিল্লি পুলিশের। এক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই।

নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে হাই কমিশনের সামনে যেতে না দেয়ায় শিক্ষার্থীরা দাবি করে, রাধাকৃষ্ণ মার্গে বাংলাদেশ হাই কমিশনার আসলে তার কাছ প্রতিবাদ স্মারক লিপি পেশ করবে শিক্ষার্থীরা। তবে, ডেপুটি হাই কমিশনার ও হেড অব চ্যান্সেরি ৪ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থীকে হাই কমিশনে গিয়ে হাই কমিশনার সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন।

বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবিতে অনড় থেকে বলেন, তাদের হয় হাই কমিশনের সামনে যেতে দিতে হবে অথবা হাই কমিশনারকে রাধাকৃষ্ণ মার্গে এলে তারা স্মারক লিপি হস্তান্তর করবে। হাই কমিশনার না আসায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদস্বরূপ সেখানে ঘণ্টাখানেক বসে মৌন প্রতিবাদ পালন করেন। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘আমিই তনু’, ‘ধর্ষকদের গ্রেফতার কর’, ‘তনুর জন্য ন্যায় বিচার চাই’, ‘নারীদের জন্য নিরাপত্তা চাই’, ‘রাষ্ট্র আমার নিরাপত্তা কোথায়?’, ‘কে তনুকে হত্যা করলো’ ইত্যাদি স্লোগানের প্ল্যাকার্ড হাতে ছিলো। হাই কমিশনার না আসায় শিক্ষার্থীরা স্মারক লিপি পাঠ করে তা হাই কমিশনার কর্মকর্তাদের কাছে তা হস্তান্তর না করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

স্মারক লিপিতে তনুর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করা হয়, তার পরিবারের ওপর হয়রানি বন্ধ ও ভবিষ্যতে ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা হাই কমিশনের উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে রওনা দেয়ার আগমুর্হূতে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে দিল্লি পুলিশ শিক্ষার্থীদের হাই কমিশনে যেতে নিষেধ করে।

বিক্ষোভকারীরা জানান, তনু হত্যার প্রতিবাদে ২৮ মার্চ হাই কমিশনের সামনে মানববন্ধন করার কথা ছিলো তাদের। কিন্তু ওই দিন অনুষ্ঠান থাকায় হাই কমিশন কর্তৃপক্ষের অনুরোধে মানববন্ধন কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে, তনুর হত্যার প্রতিবাদে সাউয়ের শিক্ষার্থীরা রাতে ‘যৌন নিপীড়নের ঘটনায় রাষ্ট্রের নীরবতা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশে তনু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।