কলকাতা: হাওড়া থেকে দিল্লিগামী কালকা মেলের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা সোমবার সকাল পর্যন্ত বেড়ে ৬৫ তে দাঁড়িয়েছে। আহত শতাধিক।
রেল সূত্রে জানা গেছে, পয়েন্টের ভুলের কারণেই এ মারাত্মক দুর্ঘটনা। এর সঙ্গে নাশকতার কোনও সম্পর্ক নেই বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রেল সূত্র আরও জানায়, লাইনচ্যুত ১৬ টি বগির মধ্যে ১০টি বগির অবস্থা খুবই খারাপ। এর মধ্যে রয়েছে দুটি অসংরক্ষিত বগি, পাঁচটি সংরক্ষিত স্লিপার বগি (এস ওয়ান থেকে এস ফাইভ) ও তিনটি শীতাতপ বগি।
ইঞ্জিনের পরেই থাকা অসংরক্ষিত বগি দু‘টিতে হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সংরক্ষিত বগিগুলোর মধ্যে এস-৩ বগিটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
দুর্ঘটনার পর থেকেই চলছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধার কাজে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও অংশ নিয়েছেন।
এদিন সকালে উদ্ধার কর্মীরা গ্যাস কাটার দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলো থেকে বেশ কয়েকটি লাশ উদ্ধার করেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনাকবলিত বগিগুলোর মধ্যে যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
এদিকে, হতাহতদের আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে একটি রিলিফ ট্রেন কলকাতা থেকে কানপুর গেছে রোববার রাত ৮টায়। একইভাবে দিল্লি থেকেও একটি রিলিফ ট্রেন কানপুরে গেছে।
দুর্ঘটনার কারণে রেল পরিষেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বহু ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেন সঙ্গত কারণেই ৬-৮ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। এর মধ্যে ডাউন রাজধানী কলকাতাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্ব¡পূর্ণ ট্রেনও রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে ঘণ্টায় ১০৮ কিমি বেগে কানপুর ছেড়ে দিল্লির দিকে ছুটে চলা হাওড়া-কালকা মেল ফতেপুরের মালওয়া স্টেশনের কাছে এলে ট্রেনের চালক ইমারজেন্সি ব্রেক কষলে ইঞ্জিনসহ ১৬টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১১