ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

উড়াল সেতু ধসের ৩০ ঘণ্টা, আরও প্রাণহাণির শঙ্কা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৬
উড়াল সেতু ধসের ৩০ ঘণ্টা, আরও প্রাণহাণির শঙ্কা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: কলকাতায় উড়াল সেতু দুর্ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপ। পোস্তা এলাকার গণেশ টকিজের সামনের চৌমাথা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হলেও ভেঙে পড়া ৪০০ মিটারের বাকি অংশ সরানোর কাজ এখন অনেকখানি বাকি।

যে বড় অংশ এখন পড়ে আছে তার নিচেও মানুষ এবং গাড়ি আটকে আছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা ও উদ্ধারকারী দল। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) গোটা রাত ধরে উদ্ধার কাজ চলেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালেও মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই কাজ শনিবারও (০২ এপ্রিল) চলতে পারে।

সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ২৪ জন বলা হচ্ছে, তবে বেসরকারি ও বিভিন্ন সূত্রে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে। ওই এলাকায় উপস্থিত অনেক নার্স এবং চিকিৎসকরা জানান, মৃতের সংখ্যা সরকারিভাবেও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম ভেঙে পড়া উড়াল সেতুর পরিস্থিতি দেখতে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, এই সময় সব থেকে আগে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন।

ঘটনাস্থলে এখন যে পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ পড়ে আছে সেগুলো সরাতে আরও বেশ কিছু সময় লাগবে। এখনও আটকে আছে একটি লরিসহ বেশ কিছু গাড়ি। গোটা এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের টিম নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। পুরো এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে জল-খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে দেহ শনাক্ত করার কাজ চলছে। মৃতদের পরিবারের লোকজন দেহ চিহ্নিত করতে কাজ করছেন বলে জানা যায়। পরিস্থিতি দেখে মনে করা হচ্ছে আজকের গোটা দিন এবং আগামীকালও (শুক্র ও শনিবার) উদ্ধার কাজ চালাতে হবে উদ্ধারকারীদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৬
ভিএস/আইএ

** কলকাতায় চলছে উদ্ধার কাজ, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা
** ‘বোমা হামলা’র দাবি কলকাতা উড়ালসেতু নির্মাণ সংস্থার!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।