সুকনা (দার্জিলিং): উত্তরবঙ্গ সফরে এসে রোববার শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন মাটিগাড়ায় উত্তরবঙ্গের জন্য মিনি সচিবালয়ের জন্য জমি চিহ্নিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি।
রোববার সকালে কালিঘাটের বাড়ি থেকে ১২টা ১০ মিনিটে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। সেখান থেকে তিনি সোজা রওনা দেন সুকনার দিকে।
মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় শিলিগুড়ির সেবক রোড ধরে জাতীয় সড়কের ওপর মাটিগড়ার উত্তরায়নের সামনে আসলে তিনি হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। পুরো জায়গাটি তিনি ঘুরে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের খবরে আশপাশের গ্রাম ও চা বাগান থেকে প্রচুর মানুষ ছুটে আসেন তাকে দেখতে। শুরু হয় যায় মমতার নামে স্লোগান। মুখ্যমন্ত্রী হাত নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে ৫ একর জায়গা চিহ্নিত করা হলো। এখানেই উত্তরবঙ্গের জন্য মিনি সচিবালয় হবে। এখান থেকে পাহাড়ের সব প্রশাসনিক কাজ হবে।
এরপর বিকেল ৪টায় বনবাংলোতে যান। মিনিট দশেক বিশ্রাম নিয়ে মমতা ব্যানার্জি আবার বেরিয়ে পড়েন মহানন্দা অভয়রণ্য পরিদর্শনে। তিনি সুকনা লেক পরিদর্শন করবেন। এই দুটি স্থানের পর্যটনের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান। রোববার রাতে সুকনা বনবাংলোতেই তিনি অবস্থান করবেন।
সোমবার ঐতিহাসিক পাহাড় চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য পিনটেল ভিলেজে যাবেন তিনি। এদিন বিকেল ৩টায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ভারত সরকারের পক্ষে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও স্বরাষ্ট্রসচিব।
দার্জিলিংয়ের মানুষের দীর্ঘ প্রতিক্ষিত গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি হতে চলেছে। ফলে দার্জিলিংযের মানুষ তাদের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি পাবে।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কিন্তু খুশি নয় তরাই-ডুর্য়াসের নাগরিকরা। সোমবার ও মঙ্গলবার হরতালের ডাক দিয়েছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ, বাংলাভাষা বাঁচাও কমিটি, জনচেতনা, আমরা বাঙালি, ডুয়ার্স-তরাই নাগরিক মঞ্চ ও অন্যান্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১১