ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

খাসজমি উদ্ধারে কৃষক আন্দোলনের ডাক সিপিএমের

সিনিয়ার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১১
খাসজমি উদ্ধারে কৃষক আন্দোলনের ডাক সিপিএমের

কলকাতা: রাজ্যের হারানো জমি ফিরে পেতে আবার কৃষক আন্দোলনের ডাক দিল সিপিএম। ফলে এ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ষাটের দশকের কায়দায় সরকারি খাসজমি দখল করে গরীব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হলো।



তেভাগা আন্দোলন খ্যাত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের আদিবাসী কৃষক বাসুদেব সরদার, গোলক মুন্ডা, ভরত মুন্ডারা লালঝান্ডা নিয়ে ফের নিজেদের জমিতে নামলেন। হিমাঙ্গিনী মাল, রূপসী মাল, যমুনা সরদাররাও মিছিলে হেঁটে, ঝাড়– হাতে পুনরুদ্ধার করলেন নিজেদের কৃষিজমি। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলকর্মীরা ঝান্ডা পুঁতে ঐ জমি দখলে নিতে চেয়েছিল।

ভাঙড়ের তাড়দহ অঞ্চলে সেনাটিকারী, চন্ডীপুর, দুর্গাপুর, কাকুড়িয়া, খোরোখালি, গঙ্গাপুর মৌজায় প্রায় পাঁচ শ’ কৃষক নিজেদের জমি নিজেদের অধিকারে নিলেন।

সিপিআই (এম) নেতা, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আবদুর রেজ্জাক মোল্লা এ নিয়ে রোববার বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাতদিন আগে কৃষকদের জমিতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ঝান্ডা লাগিয়েছিল। কৃষকের জমির অধিকার কেড়ে নিতে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। লালঝান্ডা নিয়ে কৃষকরা তাদের জমি পুনরুদ্ধার করলেন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় চার শ’ বিঘা কৃষিজমি। সরকারী খাস জমি। রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার গরিব কৃষকদের পাট্টা দিয়েছে। বর্গা রেকর্ড করেছে। কিন্তু জমিতে ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে কৃষকের দখলে রয়েছে। এই জমিতে তৃণমূলকর্মীরা ঝান্ডা লাগিয়ে দখলের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় কৃষকেরা স্থানীয় ভাঙড় থানায় তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। এই জমিতে ৩৫ জন আদিবাসী কৃষকের পাট্টা রয়েছে। ’

আবদুর রেজ্জাক মোল্লার অভিযোগ, তৃণমূলকর্মীদের জমি দখলের এই চক্রান্তের ঘটনা রাজ্য সরকারকে তিনি জানিয়েছেন।

বিধানসভার ‘হোম স্ট্যান্ডিং কমিটি’র তাপস রায়কেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়, কিছু করছে না দেখে কৃষকের জমি পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিপিএমের ডাকে কৃষকরা মিছিল করে তাঁদের জমিতে নেমেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘন্টা, জুলাই ২৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।