কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে কর আদায়ে দালালচক্র ও দুর্নীতি রোধে ৫ ক্যাটাগরিতে ই-গভর্নেন্স চালু করেছে রাজ্য সরকার।
সোমবার মহাকরণে এ ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
ফলে এখন থেকে ব্যবসায়ীরা কম্পিউটারের মাধ্যমে তাদের কর জমা দিতে পারবেন। এখন থেকে রাজ্য সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পারবে বলে মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ই-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সব ব্যবসায়ীকে নাম নথীভুক্ত করতে হবে। ই-মেটেরিয়ালাইজেশনের মাধ্যমে সেগুলি বাস্তবায়িত করা হবে। ই-রির্টানের মাধ্যমে সেল ট্যাক্স আদায় করা হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাসিসটেন্সের মাধ্যমে ৪০ কোটি রুপি পাওয়া যাবে। ই-ভ্যাটের মাধ্যমে সরকার সরাসবি কর আদায় করবে।
এছাড়াও ই-সাবমিশন স্কিমে ৫০ লাখ রুপির নীচে যাদের বার্ষিক আয় তাদের মোট দেয় করের ২৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। রেঁস্তোরা ও অন্যান্য ছোট ব্যবসায়ীদের থেকে এই কর আদায় করা হবে। ছোট ব্যাবসায়ীরা ফর্ম পূরণ করত। এখন আর তা করতে হবে না।
রাজ্য সরকার আশা করছে, এর ফলে ব্যাপক পরিমাণ টাকা কর হিসেবে আয় হবে। বিশ্বাসের ওপরে এই কর আদায় হবে। যদি কেউ মিথ্যা বলে তবে তাকে ফাইন দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো নতুন পলিসি নিচ্ছি না কর আদায়ের পদ্ধতিগুলিকে সংস্কার করছি। রাজ্যের সব জায়গার জন্য এই নিয়ম কর্যকরী হবে।
মহাকরণ সূত্রে জানা গেছে, এজন্য ১শ’ ৫১টি কম্পিউটার সেন্টার রাখা হবে যেখানে গিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের কর জমা দিতে পারবেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কর আদায় হবে। কাগজ কলম কিছুই লাগবে না।
এনআইসি নামক একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় এই পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার ৭৫ শতাংশ এবং রাজ্য সরকার ২৫ শতাংশ টাকা দিয়েছে।
মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে এই পরিকাঠামোকে তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ আগস্ট থেকেই রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘন্টা, জুলাই ২৫, ২০১১