ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

গভীর শ্রদ্ধায় রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবস পালন কলকাতায়

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১১
গভীর শ্রদ্ধায় রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবস পালন কলকাতায়

কলকাতা: গভীর শ্রদ্ধায় সোমবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭০তম প্রয়াণ দিবস পালিত হল কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের বাংলা পঞ্জিকামতে আজকের দিনটি ছিল ২২ শ্রাবণ।



এদিন রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবর্ষে মহানগরীর চারটি অঞ্চল থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বেরিয়েছিল ‘আলোক ফেরি’। এই প্রভাত ফেরিতে পথ হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ ব্যানার্জিসহ রাজ্য সরকারের প্রায় সব মন্ত্রী।

আর ছিলেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ অগণিত রবীন্দ্র অনুরাগী। যারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিলে শামিল হন।

এদিন সকাল ১০টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে হরিশ পার্ক থেকে মমতা ব্যানার্জির  নেতৃত্বে শুরু হয় ‘আলোক ফেরি’র পদযাত্রা। মিছিলটি ময়দানের শহিদ মিনার পর্যন্ত যাওয়ার কথা থাকলেও প্রবল বৃষ্টির কারণে এটি কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে শেষ হয়। এদিন মমতার মিছিলে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পরিবহনমন্ত্রী সুব্রত বক্সী, তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল, বিধায়ক দেবশ্রী রায় প্রমুখ।
 
ওই একই সময় শহরের আরও তিন জায়গা থেকে বের হয় ‘আলোক ফেরি’। কবির জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির নেতৃত্বে ‘আলোক ফেরি’ মধ্য কলকাতার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্কোয়ার থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য  প্রতিমন্ত্রী সুদীপ ব্যানার্জির নেতৃত্বে বেরিয়েছে ‘আলোক ফেরি’। পার্ক সার্কাস ময়দান থেকে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানের নেতৃত্বে ‘আলোক ফেরি’ বের হয়। এই সবকটি পদযাত্রায় মেট্রো চ্যানেলে এসে শেষ হয়।

এদিকে, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে সকাল থেকেই কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। এর পাশাপাশি নিমতলায় শ্মশান ঘাটে সকাল ৮টায় রবীন্দ্র স্মৃতি সৌধে জানানো হয় শ্রদ্ধা। এখানে শ্রদ্ধা জানান কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করুণাসিন্ধু দাস, বিশ্বভারতীর সাবেক উপাচার্য সুজিত বসু প্রমুখ।

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে সারাদিন ধরেই গান, কবিতা , নৃত্য ও আলোচনার মধ্য  দিয়ে কবিকে স্মরণ করা হয়।

কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে এদিন সকালে বৈতালিকের মধ্য দিয়ে তাঁকে স্মরণ করা হয়। এর উপসনাগৃহে বিশেষ উপাসনা আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে যোগ দেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়।

রাজ্যসরকারের তরফ থেকে এদিনের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যার এই মূল অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ।

এছাড়াও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র সদন, গিরিশ মঞ্চ, শিশির মঞ্চ, মধুসূধন মঞ্চ, মির্নাভা থিয়েটারে রবীন্দ্র স্মরণ অনুষ্ঠান করা হয়। নন্দনে আয়োজন করার হয় রবীন্দ্র চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর।

এদিনের টানা বৃষ্টিতে রবীন্দ্র স্মরণের অনুষ্ঠান কিছুটা ম্লান হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে প্রভাত ফেরিতে অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় আগামীকাল মঙ্গলবার  রাজ্য সরকার রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।