কলকাতা: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে শুক্রবার হাওড়ার উদয়নারায়নপুরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এদিন দুপুর ১টার সময় কলকাতার মহাকরণ থেকে মন্ত্রী অরূপ রায়কে সঙ্গে নিয়ে উদয়নারায়নপুরে যান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এখানে স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে ত্রাণ বণ্টনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
এদিকে ডিভিসির ছাড়া পানিতে উদয়নারায়নপুরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫জন মন্ত্রীকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে থাকবেন পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখবেন। ত্রাণ পৌঁছে দেবেন দুর্গত মানুষের কাছে। জেলা ও মহকুমা শাসকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্গত এলাকার সরকারি কর্মচারীদের সবছুটি বাতিল করা হয়েছে।
রাজ্যের ৯টি জেলায় বন্যা দিয়েছে। আবার ডিভিসি থেকে ৯৬ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হবে বলে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগে ১লাখ ১৪ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। বর্ধমান-হুগলি-নদিয়াকে সতর্ক করা হয়েছে।
ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কমলেও নিম্নচাপের ফলে কলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গে ভারি বৃষ্টির কথা শুক্রবার জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গেছে। বাড়িঘর পানির তলায়। এপর্যন্ত রাজ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে।
মুকুটমনিপুরের কাছে বাঁকুড়ার কংসাবতী নদী থেকে ১০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে বাঁকুড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে খাতরায় কংসাবতীর পানি ঢুকলেও তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে দামোদরের পানি বরজোড়া ও কয়েকটি অঞ্চল প্লাবিত হলেও এখন সেখানে পানি নেমেছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে এদিনও কলকাতায় সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে। মহানগরী বিস্তির্ণ অংশ এখনও পানির নিচে। এর ফলে শহরের অধিকাংশ স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কগুলো থেকে পাম্প চালিয়েও পানি নামাতে পারছে না পৌরসভা অবিরাম বৃষ্টির কারণে।
ভারতীয় সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১১