নয়াদিল্লি: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বন্দি বিনিময় চুক্তি আগামী জানুয়ারিতেই সই করতে যাচ্ছে দেশ দুটি।
মঙ্গলবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগে সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অরক্ষিত সীমান্ত নিয়েও কথা হয় দুই দেশের মধ্যে। অরক্ষিত সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে মানব পাচার, মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে।
সূত্র মতে, ভারত সরকারকে ৩৭টি পয়েন্টে জিরো দূরত্ব থেকে ১৫০ গজ পর্যন্ত কাঁটাতারের বেড়া লাগানোর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ১২তম আলোচনা সভা সোমবার নয়াদিল্লিতে শেষ হয়েছে। আলোচনা সভায় ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিং ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব মনজুর হোসেন।
দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রই তাদের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক উন্নয়নে সচেষ্ট। নিরাপত্তা এবং সীমানা সংক্রান্ত ইস্যুতে দুই দেশের নেতারাই পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলেও বলা হয় বিবৃতিতে।
আলোচনা সভায় উভয়পক্ষই পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি (এমএলএটি), বন্দি বিনিময় চুক্তি, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই ঘোষণা এবং সীমান্তে মাদক চোরাচালানি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সম্মত হয়। একইসঙ্গে উভয় পক্ষই প্রত্যর্পণ চুক্তি করতেও সম্মত হয়। দুই দেশের সরকারের পক্ষ থেকেই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সময়সীমা ধার্য করা হবে বলেও জানানো হয়।
ভারত সরকারের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হস্তান্তর করার কথা জানায় বাংলাদেশ।
অপরদিকে, ভারত সরকার এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেয়।
এবিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ‘আমরা আশা করি এবিষয়ে ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ভারতের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে আমরা তথ্য দিলে আশা করি, তারা আমাদের কাছে অপরাধীদের হস্তান্তর করবে। ভারতের অন্তরিকতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ’
দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পারস্পরিক সহযাগিতার জন্য নিরাপত্তাজনিত তথ্যাদি আদান-প্রদানের ব্যাপারেও সম্মত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১১