ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বিদেশের মাটিতে প্রথম মিশনেই বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
বিদেশের মাটিতে প্রথম মিশনেই বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন

কলকাতা: দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য একটা দিন।

সেই দিনে মেহেরপুরের বৈদনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অস্থায়ী সরকার শপথ নিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পথচলা শুরু করে মুজিবনগর সরকার। ঠিক তার পর দিন অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে দুপুর ১২টার পর বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় তৎকালীন কলকাতার পাকিস্তান দূতাবাসে।  
এর মাধ্যমে কলকাতার নয় নম্বর সার্কাস অ্যাভিনিউ এখন ৯ নম্বর শেখ মুজিব সরণিতে অবস্থিত বাড়িটি বাংলাদেশ হাইকমিশনে পরিণত হয়েছিল।

ওইদিন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন হাইকমিশনার হোসেন আলি। পাকিস্তান ডেপুটি হাইকমিশনের নেমপ্লেট সরিয়ে করা হয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। মহম্মদ আলি জিন্নাহ ও স্যার ইকবালের ছবি নামিয়ে রাখা হয়। পরে সেখানে টানানো হয় নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। বিদেশের মাটিতে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে প্রথম উত্তোলন করা হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। বর্তমানে এদিনটি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ডে হিসেবে পালিত হয়। ফলে সেই ঐতিহাসিক দিনটাকে স্মরণে রেখে সোমবার (১৮ এপ্রিল) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হলো কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন।  

কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা চারদিক ধরে উপ হাইকমিশন প্রদক্ষিণ করেন। এরপর পতাকা উত্তোলন করেন উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।

উপ হাইকমিশনার বলেন, ‘আজ ফরেন সার্ভিস ডে’র ৫১তম জন্মদিন। ১৮ এপ্রিল কলকাতায় তৎকালীন যে পাকিস্তান উপদূতাবাস ছিল সেখানে যারা বাঙালি কর্মকর্তারা ছিলেন, তারা বাংলাদেশের আনুগত্য স্বীকার করে পাকিস্তানের ফ্ল্যাগ নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন। বহির্বিশ্বে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম মিশন। এদিনটি আমরা ফরেন সার্ভিসে ডে হিসেবে পালন করি। সে কারণে এই ঐতিহাসিক ভবনের সঙ্গে আমাদের আলাদা টান রয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘পতাকা উত্তোলনের পর আমার সহকর্মীদের যা বলেছি, আমরা সৌভাগ্যবান, সেই কারণে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্নগুলো ছিল সেগুলো বাস্তবায়নে কলকাতার এই মিশন থেকে যতটুকু করা সম্ভব প্রত্যেকে যেনও একশ শতাংশ দিয়ে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি। ’

এদিনটি উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আজ বিকেলে অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বিশ্বে অবস্থিত বাংলাদেশের ৮০টা মিশন অংশ নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।