ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কোরবানির হাট কাঁপাবে যমজ লালু-ভুলু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
কোরবানির হাট কাঁপাবে যমজ লালু-ভুলু

নীলফামারী: বিশাল দেহের শাহিওয়াল জাতের গরু দুটির নাম রাখ হয়েছে লালু-ভুলু। মানুষকে আকর্ষণ করছে যমজ গরু দুটি।

 খামার মালিকের প্রত্যাশা আসন্ন কোরবানির হাট কাঁপাবে তার ‘লালু-ভুলু’।  গরু দুটি দেখতে একই রকম। অবশ্য গরু দুটির মাথায় রয়েছে সাদা রঙের ছাপ।  

অনেকের মতে, ওই গরু দুটিই নীলফামারী জেলার সব থেকে বড় গরু। লালু-ভুলু থাকে হাফ ইটের দেওয়াল আর টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে। ওদের শরীরে লাল রঙের প্রভাব বেশি তাই ওদের নাম রাখা হয়েছে ‘লালু-ভুলু’।

নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ার মোড় এলাকার ওয়াহিদ পারভেজের খামারে লালন-পালন হচ্ছে গরু দুটিকে।

ওই গরু দুটির বয়স চলছে দুই বছর নয় মাস। তবে গরুর মালিক এখনই লালু-ভুলুকে ছাড়তে চাইছেন না। আশায় আছেন পছন্দ অনুযায়ী দাম পেলে তবেই তুলে দেবেন ক্রেতার হাতে।

বিশাল আকৃতির গরু দুটি দেখতে প্রতিদিন খামারির বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে দূর-দুরান্তের মানুষ। বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ব্যবসায়ীরা দেখতে আসছেন, করছেন হাঁকডাক।  

ওই লালু-ভুলুকে দেখভাল করেন খামারের মালিক ওয়াহিদ পারভেজ। গরু দুটিকে প্রতিদিন খাওয়ানো হয় ওই খামারির চাষ করা নেপিয়ার ঘাস, খড়, ধানের কুঁড়ো, ভুষি আর দুপুরবেলা খুদের ভাত।

লালু-ভুলুর মালিক বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গরু দুটি পালন করে আসছি। অনেক দিনের স্বপ্ন বড় গরু প্রস্তুত করব। এবার আমার সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে।

তিনি বলেন, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ‘লালু-ভুলুকে’ ভালো দামে বিক্রির আশা করছি। অনেক গরু ব্যবসায়ী ওদের দেখতে আসছেন। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামও উঠেছে। কিন্তু দামে পছন্দ হয়নি আমার। খামারে বিক্রি করতে না পারলে হাটে তুলব। বর্তমান গরু দুটি দৈনিক প্রায় দেড় হাজার টাকার গো-খাদ্য খায়। গরুটির কথা শুনে অনেকে দেখতেও আসছেন।

ওয়াহিদ পারভেজের খামারে দেশি শাহিওয়াল জাতের গরু দুটির ওজন প্রায় ৩৭ মণ। এছাড়াও গরুর দৈর্ঘ ৯ ফুট প্রস্থ ৫ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ৩৭ মণ ওজনের লালু-ভুলুর গরু দুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। একটি গরু সাড়ে সাত লাখ টাকা চান খামারের মালিক ওয়াহিদ পারভেজ।

নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী বলেন, গোটা নীলফামারীতে কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আসন্ন ঈদুল-আজহা ঘিরে জেলার জন্য এক লাখ ২২ হাজার ৭১৬টি পশু প্রস্তুত আছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৭৮ হাজার ২৪২টি পশু বাইরের জেলায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গরু লালন-পালন ও বিশেষ খামারের গরু তদারকিতে কাজ করছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।