ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘ট্রিপল সেঞ্চুরির’ পথে কাঁচামরিচ, বেড়েছে সবজির দামও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
‘ট্রিপল সেঞ্চুরির’ পথে কাঁচামরিচ, বেড়েছে সবজির দামও

ঢাকা: কোরবানি ঈদ এলেই ‘সালাদ আইটেমের’ দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, শসা ও টমেটো সাধারণ সালাদ আইটেম হিসেবে ধরা হয়।

দুদিন ধরে বাজারে কাঁচামরিচের যে দাম চলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় তা প্রায় দ্বিগুণ।  গত সপ্তাহে ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এ সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ২৫০-২৭০ টাকা।  টমেটোও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা। খুচরা বাজারেও দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজি ৭০-৮০ টাকা।

গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বাজারে কোনো সবজির দাম কমেনি। বরং অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে কম দামের সবজির মধ্যে আছে শুধু মিষ্টি কুমড়া, প্রতি কেজি ৩০ টাকা।

শুক্রবার (২৩ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, মেরাদিয়া হাট, মালিবাগ বাজার এবং গোড়ানসহ বেশকিছু খুচরা বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ সময় দেখা যায়, গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়।

মরিচের দামের বিষয়ে খিলগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে পাইকারি বাজার থেকে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) কাঁচামরিচ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনেছি। কিন্তু গত দুইদিন ধরে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা।

বাজারে গাজরের দামও বাড়তি, প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা।  গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া করলা এ সপ্তাহে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা বেড়ে ৮০-৯০ টাকায় পৌঁছেছে। গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতিকেজি বরবটির দাম বেড়ে এ সপ্তাহে হয়েছে ৮০ টাকা। তবে কচুর লতি গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁও বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী সোলায়মান হোসেন। কাঁচামরিচের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ তিনি। বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে চলতে অনেক কষ্ট হবে, প্রতিটা পণ্যের দাম বাড়তি। বাজারে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এখন কিছু নেই। আড়াইশ গ্রাম কাঁচামরিচ ৬০ টাকায় কিনতে হলো, যা দুইদিন আগেও ৩০ টাকায় কিনেছি। ব্যবসায়ীদের এভাবে সুযোগ বুঝে দাম বাড়ানোটা ঠিক হচ্ছে না। সরকারের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

বাজারে গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া এক হালি কাঁচাকলা এই সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতিকেজি ৪০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা। পটল গত সপ্তাহের মতো একই দামে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম বেড়ে প্রতিকেজি ৫০ টাকা, মূলার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। তবে পেঁপের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। চিচিঙ্গার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। ঝিঙ্গার দামও ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা।  তবে বাড়েনি লম্বা বেগুনের দাম, আজও বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা।

মেরাদিয়া হাটের খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, এ সপ্তাহে কাঁচামরিচের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে। আর দাম বেড়েছে করলা, টমেটো এবং শসার। মোট কথা এই সপ্তাহে বাজারে সবকিছু দাম ঊর্ধ্বমুখী।  যদিও ঈদে সবজির দাম কমার কথা। উল্টো এবার সব ধরনের সবজির দামই বাড়ছে, আপাতত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।