ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কিছু কোম্পানির কারণে বিমা খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
কিছু কোম্পানির কারণে বিমা খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে

ঢাকা: কিছু বিমা কোম্পানি মেয়াদ শেষে গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ করে না। এ সংখ্যা মোট বিমা কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ।

২০২১ অপরিশোধিত বিমা কোম্পানির টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। এ সব কোম্পানির কারণে পুরো বিমা খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রামপুরায় চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স মিলনায়তনে বিমা খাতের রিপোর্টারদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলা হয়। ইনস্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) ও চার্টার্ড লাইফ যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচক চার্টার্ড লাইফের মুখ্য কর্মকর্তা এসএম জিয়াউল হক বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের ইনস্যুরেন্সগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআর’র নির্দেশনা মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। যেসব প্রতিষ্ঠান আইডিআর’র আগে প্রতিষ্ঠিত, অধিকাংশের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বিমা দাবি না পরিশোধের অভিযোগ আসছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মেনে, প্রয়োজনীয় আইন মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালন করলে গ্রাহকদের অভিযোগ কমে আসবে।

তিনি বলেন, বিমা খাতের নেতিবাচক ধারণার জন্য বিক্রয় প্রতিনিধি ও গ্রাহকদেরও ভূমিকা রয়েছে। অনেক বিক্রয় প্রতিনিধি ভুল বুঝিয়ে বিমার পলিসি করান। গ্রাহকরা না বুঝে বাড়তি লাভের জন্য বিমা করে পরে এক সময়  প্রিমিয়াম দিতে অনিয়মিত হয়ে যায়। তারা মেয়াদ শেষে টাকা পান না। তখন বিমা খাত সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করেন। এক্ষেত্রে এ সব বিমা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহকের অসচেতনতা, দুটোই দায়ী।

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিকে বিমা সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণার কারণে মানুষ বিমা করতে নিরুৎসাহিত হন। অন্যদিকে প্রয়োজনের অধিক থাকায় অনেক বিমা প্রতিষ্ঠানই টিকে থাকতে হিমসিম খাচ্ছে। একাধিক বিমা প্রতিষ্ঠান মার্জার (একত্রিত) করে নতুন নতুন খাতের বিমায় নিয়োজিত করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বিমা কোম্পানিগুলোকে যেখানে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কম সেখানে বিনিয়োগ করতে হয়। ঝুঁকি মুক্ত বিনিয়োগের প্রধান জায়গা হচ্ছে বন্ড। কিন্তু বন্ড থেকে যে আয় আসে সেটি খুবই অপার্যাপ্ত। তাই ভালো রিটার্নের জন্য পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ করতে হয়।

কোম্পানিটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ বলেন, বিমা দাবি পরিশোধের হার ৭০ শতাংশের বেশি। মাত্র দুই তিনটা কোম্পানির কারণে মার্কেটের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যারা ভালো করছে তাদের বিষয়ে গণমাধ্যম ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করলে বিমা খাতের  উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন চার্টার্ড লাইফের প্রধান ফাইন্যান্সিয়াল কর্মকর্তা মনজুর আহমেদ ও আইআরএফ সভাপতি গাযী আনোয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।