ঢাকা: খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও কৃষি বাজারের অব্যবস্থপনার কারণে কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। ফলে এ পেশাতে তরুণ, যুবকদের অংশগ্রহণে আগ্রহ কম।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘আন্তর্জাতিক পারিবারিক কৃষি বর্ষ ২০১৪ ভূমির মালিকানা, জলাশয় ও বনভূমির দায়িত্বশীল প্রশাসন সংক্রান্ত ভলান্টারি গাইডলাইন এবং দায়িত্বশীল কৃষি বিনিয়োগ :প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
প্রযুক্তি ও সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততাই কৃষকের হাতে কৃষি পণ্যের সঠিক দাম পৌঁছে দিতে পারে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, কৃষকদের অধিকার রক্ষায় কৃষক সংগঠনগুলোকে মজবুত করতে হবে। প্যাকেটিং, মজুদ, সংরক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আলোচকেরা বলেন, কৃষি পণ্য রপ্তানি করা হলেও সেখানে কৃষকদের তেমন কোনো অংশগ্রহণ নেই। যাদের বেশি বেশি মূলধন আছে তারাই ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে। এ সময় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেই যেন সব কার্য্যক্রম থেমে না যায় সেদিকে নজর দেয়ার আহ্বানও জানানো হয়।
বক্তারা জানান, কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। তারা কতটুকু উপকৃত হচ্ছেন সেদিকে যদি আমরা নজর না দেই তাহলে এক সময়ে হয়তো প্রকৃত কৃষককেই খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। সবকিছু সরকারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে সচেতনতা নিয়ে নিজেদের দায়িত্বও পালন করতে হবে।
সভায় নারী কৃষকরা কৃষকের স্বীকৃতি না পাওয়া নানা প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হচ্ছেন বলেও জানানো হয়।
বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইড ও এশিয়ান ফার্মার এসোসিয়েশন ফর সাসটেইনেবল রুরাল ডেভেলপমেন্টে’র (এএফএ) সহযোগিতায় উন্নয়ন ধারা, খানি বাংলাদেশ ও কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী এ সভার আয়োজন করে।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরি বাংলাদেশ’র সাবেক কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. জয়নাল আবেদীন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক সদস্য পরিচালক ড. খালেকুজ্জামান আকন্দ চৌধুরী প্রমুখ।
সভার শুরুতে উন্নয়ন ধারা’র নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪
** চাষের জমির অর্ধেকেরও বেশি অকৃষকদের হাতে