ঢাকা: সারাদেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা ২৯ ডিসেম্বরের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন(বিআইএ)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিআইএ’র সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিআইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়মিত হরতালের কারণে দেশের ব্যবসা ও সম্পত্তির যে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয় তার সম্ভাব্যতার কথা চিন্তা করেই শেখ কবির হোসেন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এতে বলা হয়, ২০১৩ সালের দীর্ঘ দিন হরতালের কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল বিমা কোম্পানীগুলোও তা থেকে রেহাই পায়নি। দেশের প্রতিটি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রিমিয়াম আয় কমে গেছে। নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার প্রিমিয়াম বৃদ্ধির হারও অত্যন্ত নগন্য। হরতালের ফলে বিমা ব্যবসার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসাও অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২০১৩ সালে নিয়মিত হরতালের কারণেই বিমা শিল্পে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। দেশের ব্যবসায়ী মহল যে মুর্হুতে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল সেই মুহুর্তেই ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের কারণে দেশে আবারও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
কারণ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হরতাল হলে দেশে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া কারণে অকারণে হরতাল দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ব্যাপকভাবে নিরুৎসাহিত করে। স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাসহ নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই কর্তব্য। তাই দেশে চলমান সংকট উত্তরণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত যুক্তি ও নিয়মের মধ্যে থেকে হরতালকে পরিত্যাগ করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪