ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সপ্তাহের বাজারদর

কাঁচাবাজারে আগুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫
কাঁচাবাজারে আগুন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: লাগাতার অবরোধ আর মাঝে মাঝে হরতালের কারণে সবজি চাষীরা এখন দিশেহারা। সবজি বিক্রি করতে না পারায় উৎপাদনের খরচই ওঠছে না তাদের।

অন্যদিকে রাজধানীতে সরবরাহ কম থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম পাঁচ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সবজিসহ চাল, মাছ, মাংসের দামও বেশ চড়া। সবমিলিয়ে কাঁচাবাজারগুলোতে যেন রীতিমত আগুন লেগেছে।

শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, অবরোধের আগে কেজি প্রতি কাঁচামরিচ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হতো। শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে রসুন (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়, পাঁচ থেকে আট টাকা বেড়ে পেঁয়াজ (দেশি)বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিদেশি পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মহাখালী কাঁচাবাজার থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন জুলফিকার হাবিব। তিনি জানান, সাধারণত শীত মৌসুমে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম একটু কম থাকে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের বাজার করতে হিমশিম খেতে হবে।
 
বিক্রেতারা সরবরাহ কমের অজুহাত দিয়ে জানান, অবরোধের কারণে কাঁচাপণ্য অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। তাই খুচরা বাজারে দাম একটু বেশি।
 
কাঁচাপণ্য বিক্রেতা লালন জানান, পণ্য কম তাই দাম বেশি। এছাড়া ক্রেতার সংখ্যাও কমে যায়। এ মৌসুমে এতো দামে সবজি কেউ কিনতেও চান না। সবমিলিয়ে তাদের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না।
 
সবজি বাজার:  কেজিপ্রতি সাদা আলু ১৮ থেকে ২৫ টাকা, লাল আলু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচাপেপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫ থেকে ৩০ টাকা, শশা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সিম ২০ থেকে ৩৫ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিটি ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪৫ টাকা এবং মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মশলার বাজার: শুকনা মরিচ (দেশি) ১৪০ থেকে ১৯০ টাকা, বিদেশি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, আদা (ভারত) ৯০ থেকে ১১০ টাকা, চায়না ৮০ থেকে ১০০ টাকা, হলুদ (দেশি) ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
চালের বাজার: প্রায় সব ধরনের চালেই কেজিপ্রতি দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরু (মিনিকেট, নাজিরশাইল) কেজিপ্রতি ৪৬ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি (পারিজা, হাসকি, বি আর ২৮) ৩৬ থেকে ৪২ টাকা, গুটি, স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, মোটা ৩৩ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা আটা কেজিপ্রতি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, ময়দা ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
ডাল ও তেলের বাজার: কেজিপ্রতি মসুরের (দেশি উন্নত) ডাল বিক্রি হচ্ছে  ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, সাধারণ ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, বিদেশি সাধারণ ৮৮ থেকে ৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোয়াবিন তেল (খোলা) এক লিটার ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, পাম তেল (সাধারণ ও সুপার) ৬৮ থেকে ৭২ টাকা, সয়াবিন ক্যান ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মাছের বাজার: এদিকে মাছের বাজারেও দর চড়া। এক থেকে দুইকেজি ওজনের রুই ১৯০ থেকে ২৮০ টাকা, কাতল ১৯০ থেকে ২৭০ টাকা, পাংগাস ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ থেকে ১৯০ টাকা, কেজিপ্রতি তেলাপিয়া ১৩৫ থেকে ১৭০ টাকা, কৈ (চাষকৃত) ১৫০ থেকে ১৯০ টাকা, চিংড়ি (ছোট) ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫

** সবজির মূল্য হ্রাসে দিশেহারা কৃষক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।