ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে ছবি: দীপু মালাকার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পাতালরেলের মতো আরও বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। পাতালরেল প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন।



‘টেকসহ উন্নয়ন-২০৩০ অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশের কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শনিবার( ৩১ অক্টোবর) মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
 
সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসডিজি বাস্তবায়নে এসব চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।
 
মন্ত্রী বলেন, সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে তিনগুণ বেশি অর্থ লাগবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে এসডিজি অর্জন করতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকারি ব্যয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। ’
 
এসডিজি অর্জন প্রসঙ্গে মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এসডিজি অর্জন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব। কারণ ২০০৯ সালে আমরা  রাজস্ব আহরণ করেছিলাম ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অথচ গত বছরে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ৭৬ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ’

শিক্ষাখাতের বরাদ্দ নিয়ে তিনি বলেন, অনেকে বলেন শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কম কথাটা ঠিক নয়। শিক্ষাখাতে প্রত্যক্ষভাবে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ দিচ্ছি। কিন্তু পরোক্ষভাবে শিক্ষাখাতে আরও বরাদ্দ থাকে।

মন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা হিসেবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দায়িত্ব আমাকে নিতে হয়েছে। সঠিক ডাটার জন্য বিবিএস একা না পারলে এটা আউট সোর্সিং করতে হবে। দরকার হয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্পৃক্ত করা হবে। যাতে করে সঠিক ডাটা নিয়ে  কোনো প্রশ্ন না ওঠে। ’

বর্তমান সরকারের সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। শতভাগ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে। ৯৯ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ মানবসম্পদের উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের জনগোষ্ঠিকে জন সম্পদে রুপান্তর করবো। ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করবো। ’
 
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, এসডিজি সিটিজেন এজেন্ডা তাই এই বিষয়টি পাঠ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করলে ভালো হয়। প্রাথমিকভাবে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে সুফল পাওয়া গেলে মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষা ব্যবস্থা এসডিজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ’
 
এসডিজি প্রসঙ্গে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, পাঠ্যপুস্তকে এসডিজি’র এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত করলে এই বিষয়ে সবাই সচেতন হবে। সারাদেশে এটি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে। আমাদের বিশ্বাস এমডিজি’র এসডিজি অর্জন করতে সক্ষম হবো।
 
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি এম মির্জা আজিজুল ইসলাম, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক স্বতন্ত্র এমপি মোহাম্মদ ফজলুল আজিম,পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আরাস্তু খান ও হুমায়ুন খালিদ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এমআইএস/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।