ঢাকা: কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। সময় এসেছে কৃষকদের ট্যাক্স দেওয়ার।
শনিবার (১১ জুন) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭: প্রেক্ষিত বাংলাদেশের কৃষি’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কৃষিক্ষেত্রে এলাকা না বাড়লেও দেশ কৃষিক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলাকাভিত্তিক ট্যাক্স দিতে সক্ষম কৃষকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, একটু একটু করে ট্যাক্স নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু এখনও এ ট্যাক্স বসানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ট্যাক্স বসালে কৃষিপণ্যের দাম বাড়বে, তবে ভবিষ্যতে বসানো হবে। কৃষি খাদ্যে দেশ এগিয়ে গেলেও পশুপালনে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। দুগ্ধ শিল্পেও পিছিয়ে। সেজন্য বাজেটে এসব খাতে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
কৃষি বাজেটের বেশিরভাগ ভতুর্কি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি যন্ত্রপাতি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রপাতিতে শুল্ক ছাড় না দিয়ে উপায় নেই।
কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও পলিসি পরিবর্তনের প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বরাদ্দ কম হয়েছে। বাজেটে কৃষিতে পলিসি তেমন পরিবর্তন হয়নি, করার সুযোগও নেই।
অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে উন্নয়ন বাজেট অনেক বেশি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ধান, চালের ভর্তুকি মিল মালিকের পেটে যায়। ভর্তুকির সুবিধা কৃষকের কাছে সরাসরি না পৌঁছালে কৃষক একসময় কৃষি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান।
সভায় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) প্রফেসর ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আহসানুজ্জামান, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম তালুকদার, ড. জাহাঙ্গীর আলম খান, এবিএম সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৬
আরইউ/এএ