ঢাকা: গত মে মাসে সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত সব সূচকেই মূল্যস্ফীতি কমেছে। যা গত ১০ বছরের মধ্যে কম।
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী এ হার রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
সোমবার (১৩ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে বিবিএসের এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি জানান, ‘দেশে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য মজুদ আছে। জ্বালানি তেলের দামও কম। যে কারণে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমূখী’।
খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী হার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অধিকাংশ নন-ফুড বাইরে থেকে আমদানি করে থাকি। বর্তমানে এসব পণ্যের আমদানি রেটও কম। যে কারণে নন ফুডেও মূল্যস্ফীতির হার কম’।
বিবিএস বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মে মাসে কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে বাড়িভাড়া, সংসার, সন্তানদের স্কুলে ভর্তি, ও বই-খাতা কেনা- এসব খাতে কম খরচ করতে হয়েছে বলেও জানায় বিবিএস। তাই খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এপ্রিলে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মে মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ।
গ্রাম ও শহর—এ দুই জায়গার মানুষকে আগে চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হচ্ছে। তবে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি। মে মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ, আর গ্রামে এ হার ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
মানুষের আয় কতোটা বাড়ল বা কমল, তা জাতীয় মজুরি হার সূচক দিয়ে বোঝানো হয়। বিবিএসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে জাতীয় মজুরি হার ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ, এপ্রিলে যা ছিল ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর মানে হলো, মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হলেও আয় বাড়েনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘রোজার পরে মূল্যস্ফীতির হার বাড়বে। কারণ, মানুষের নানা ধরনের কেনাকাটা থাকবে। এছাড়া বেতন-ভাতা বাড়ায় ক্রয় ক্ষমতাও বাড়বে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৫
এমআইএস/এএসআর