ঢাকা: পবিত্র রমজানে ডাল ও চিনির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর প্রভাবে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘মিট দ্য প্রেসে’ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য প্রকাশ করেন।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, তামাক, দুধ জাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্য মে মাসের তুলনায় জুন মাসে বেড়েছে। মাসিক ভিত্তিতে মে মাসের তুলনায় জুন মাসে খাদ্য সামগ্রী উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ছিল মাইনাস ২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ বাংলানিউজকে বলেন, রোজায় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধমূখী হয়েছে। এ মাসে ডাল ও চিনির দাম বেড়েছে। মাসওয়ারী সাধারণ মূল্যস্ফীতির হারও ছিল চড়া। মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জুনে বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
তবে বিবিএস বলছে, স্বস্তি দিয়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্য। মে মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, জুনে কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, জ্বালানি ও আলো, প্রসাধনী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর