খুলনা: দীর্ঘ লাইনে ঠেলাগাড়ি রাখা। পাশে রয়েছে সারি সারি ভ্যান গাড়িও।
যেখানে ঠেলাগাড়ি রাখা সেখানে ৮/৯ মাস আগেও এক্স করোলা, ল্যান্ড ক্রুজার, পাজেরো, পোরশে, বিএমডব্লিউ, হ্যামার, হায়ার, প্রিমিওসহ দামি ব্রান্ডের গাড়ি দাঁড়াতো। আর সেসব গাড়িতে খুলনার অভিজাত পরিবারের সদস্যরা মীনা বাজারে কেনাকাটা করতে আসতেন।
রোববার (০৭ আগস্ট) দুপুরে খুলনার পাওয়ার হাউজ মোড়ের বন্ধ মীনা বাজারে সরেজমিন গিয়ে ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানের সারি সারি লাইন দেখতে পাওয়া যায়।
পণ্যের অতিরিক্ত দাম রাখা, পঁচা-বাসি পণ্য বিক্রি করা ও গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিত করতে না পারায় ক্রেতারা মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ায় ৮ মাস আগে বন্ধ হয়ে যায় খুলনার মীনা বাজার।
‘জীবনে আনে সজীবতা প্রতিদিন’- স্লোগানকে সামনে রেখে খুলনার পাওয়ার হাউজ মোড়ে ২০০২ সালে চার তলা ভবনে মীনা বাজারের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দিকে ব্যাপক সাড়া ফেলে বাজারটি।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর মীনা বাজার কর্তৃপক্ষ ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়। এতে বেকার হয়ে পড়েন এখনকার কর্মচারী-কর্মকর্তারা। পরে ওই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় লোটো, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় এশিয়ান বাজার নামের দু’টি প্রতিষ্ঠান মীনা বাজার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভাড়া নেয়।
মীনা বাজারের পশ্চিম পাশের চায়ের দোকানদার বাংলানিউজকে জানান, লোকসানে পড়ে মীনা বাজার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এর পশ্চিম পাশে অধিকাংশ সময় ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি রাখা হয়।
মীনা বাজারের নিয়মিত ক্রেতা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা লাবনী আক্তার জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি করে বিক্রি ও অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করে মীনা বাজার গ্রাহকদের পকেট কেটেছে। এজন্য তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে জরিমানাও দিয়েছে। সুনাম নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বাজারটি থেকে ক্রেতা দূরে সরে যাওয়ায় লোকসানে পরে মালিক বাজারটি বন্ধ করে দেয়।
মীনা বাজারের সাবেক ব্যবস্থাপক মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, লোকসানে পড়ে মালিক পক্ষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মীনা বাজার বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে দু’টি প্রতিষ্ঠানকে ভবনটি ভাড়া দেয়।
এশিয়ান বাজারের হিসাব রক্ষক দেলোয়ার জানান, বাজারের চারপাশে আগে নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ি দাঁড়াতো। এখন সেখানে অনেকটা স্থায়ীভাবে ঠেলাগাড়ি ও ভ্যান রাখা হয়। দেখলে মনে হবে ঠেলাগাড়ি স্ট্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস