সৈয়দপুর (নীলফামারী): ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজের ১০টি ব্রডগেজ রেলপথের যাত্রীবাহী কোচ রোববার (১৬ অক্টোবর) সকালে সৈয়দপুর এসে পৌঁছেছে।
এ নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এ পর্যন্ত মোট ৫০টি কোচ আনা হলো।
রেল কারখানার স্থানীয় সূত্র জানায়, পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রুটে নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালু এবং রেলওয়ে বহরে কোচ সংকট নিরসনে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি ব্রডগেজ রেলকোচ কেনা হয়েছে। কোচগুলোর ট্রলি পাল্টে ব্রডগেজ রেলপথের ট্রলিতে বসিয়ে আনা হয়েছে সৈয়দপুর রেল কারখানায়। কোচের এসব বহর সৈয়দপুর পর্যন্ত আনতে সময় লেগেছে ৩/৪ দিন।
কোচগুলো কারখানার অভ্যন্তরে ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। কোচে কোন ধরনের যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক ত্রুটি আছে কিনা তা পুনঃপরীক্ষা করার জন্য কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এ কাজ করছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা রেলকোচ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনকা’র ১০ সদস্যের একটি কারিগরি দল। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে কোচগুলোকে রেলপথে চলাচলের উপযুক্ত করে তোলা হচ্ছে।
এরপর কোচগুলোকে রেলপথে চালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এ সময় কোচের ওজন ধারণক্ষমতা, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক সক্ষমতা যাচাই করা হবে। পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে কোচগুলোকে কমিশনিং (চলাচলের উপযুক্ততা) করা হবে। কারিগরি পর্যায়ের এসব কাজ শেষ হলে রেলপথে চলাচলের জন্য রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।
লাল-সবুজের এসব নতুন কোচ দিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের সৈয়দপুর, পঞ্চগড় ও রাজশাহীসহ দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রুটে নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র। এজন্য পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ে কোচগুলি হস্তান্তর করতে ইন্দোনেশিয়ার কারিগরি দলকে তাগিদ দিয়েছে।
আমদানি করা নতুন রেল কোচের মধ্যে রয়েছে, এসি বাথ, এসি চেয়ার, শোভন চেয়ার, পাওয়ার কার, খাবার গাড়ি ও গার্ড ব্রেক। কোচগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্রান্সের সর্বাধুনিক কারিগরি প্রযুক্তি। ইন্দোনেশিয়ার বেসরকারি রেল কোচ তৈরির প্রতিষ্ঠান ইনকা লিমিটেড কোচগুলো তৈরি করেছে। কোচগুলো ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে ঋণ সহায়তা দিয়েছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) নূর আহাম্মদ হোসেন জানান, কোচগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় রাখা হয়েছে। খুব শিগগির ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।
রেলওয়ে কারখানার কার্যব্যবস্থাপক (ডাব্লুএম) আমিনুল হাসান জানান, আমদানি করা ইন্দোনেশিয়া কোচগুলোর ডি-প্রসেসিং (যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ) করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলেই চলতি মাসেই রেলপথে চলাচলের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
বিএসকে/আরএ