ঢাকা: দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশের ঘর অতিক্রম করলো। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ৭.০৫ শতাংশ ধরা হয়েছিল।
বর্তমানে প্রতি বছর দেশের একজন নাগরিকের আয়ের পরিমাণ (১ ডলার সমান ৭৮.২৭ টাকা ধরে) ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৫ টাকা ৫৫ পয়সা। অর্থবছর শেষে চূড়ান্ত হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭.১১ শতাংশ।
স্বাধীন বাংলাদেশে এর আগে এ পরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়নি।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (বিবিএস) এ প্রতিবেদন পেশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিবিএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ৬.৫৫ শতাংশ। তবে ওই অর্থবছরে বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ০১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল।
বিবিএস’র রিপোর্টে দেখা গেছে, ১৫টি খাতের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম অর্জিত হয়েছে সামাজিক এবং ব্যক্তিগত খাতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। তবে কৃষি খাতে জিডিপি অর্জন ভালো হয়েছে ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি জিডিপি অর্জিত হয়েছে শিল্পখাতে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট খাতে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ অর্জন হয়েছে। শিক্ষা খাতে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাতে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রশাসন খাতে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ জিডিপি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়লে বাড়ে দেশের মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৩১৪ ডলার। এক অর্থবছরের ব্যবধানে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৫১ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় বছরের ব্যবধানে ১১ হাজার ৮১৮ টাকা ৭৭ পয়সা বেড়েছে। এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ১৯০ ডলার।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ- এটা দেশের সেরা অর্জন। সবার সামগ্রিক প্রচেষ্টায় এ অর্জন। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মাথাপিছু আয়ও দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬৫ ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর