ঢাকা: ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম দিন মাসে ২২ লাখ মার্কিন ডলার অর্থছাড় কমিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। তবে, রাশিয়ার কারণে বেড়েছে প্রতিশ্রুতি।
রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মূল প্ল্যান্ট নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ১১.৩৮০ বিলিয়ন ডলার দেবে রাশিয়া যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই বিষয়ে ইআরডি ও রাশিয়ার মধ্যে একটি ঋণচুক্তি সই হয়েছে। এর ফলেই রাশিয়া একাই প্রতিশ্রুতি বাড়িছে বলে জানায় ইআরডি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের তিন মাস (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১ হাজার ২০৩ কোটি ২ লাখ মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুতি এসেছে। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রতিশ্রুতি এসেছিল মাত্র ৫ কোটি ২৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ৫০ বছর অর্থনৈতিক জীবন বিবেচনায় দুটি ইউনিটে ২৪শ’মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
২০১৭ সালেই প্রকল্পের মূল নির্মাণকাজ শুরু হবে। প্রতিটি ১২শ' মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালে ও ২০২৩ সালে দ্বিতীয়টির কাজ চালু হবে। এর ফলে রাশিয়া প্রতিশ্রুতি বাড়িয়েছে বলে জানায় ইআরডি।
ইআরডি সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ২২ লাখ মার্কিন ডলার অর্থছাড় কম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগীরা। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার।
তবে, একই সময়ে সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমেছে ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল মোট ২৩ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ চলতি অর্থবছরে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ মাত্র ২৩ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলার।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বাংলানউজকে বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরুতে সব সময় প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যায়। ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) প্রণয়নসহ নানা কারণে এই সমেয় প্রকল্প বাস্তবায়নের হার কম থাকে। যে কারণে অর্থছাড়ও কম হয়। ’
উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি হার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছরে রুপপুর পারমাণবিক মেগা প্রকল্পের ঋণচুক্তি হয়েছে। যে কারণে প্রতিশ্রুতির হার বেড়েছে বলে আমি মনে করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমআইএস/পিসি