ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোলে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ১০ ট্রাক পাথর জব্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৬
 বেনাপোলে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ১০ ট্রাক পাথর জব্দ

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করার অভিযোগে সাড়ে তিন কোটি টাকার আমদানিকৃত ১০ ট্রাক পাথরের জব্দ করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। 

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করার অভিযোগে সাড়ে তিন কোটি টাকার আমদানিকৃত ১০ ট্রাক পাথরের জব্দ করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।  

বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বন্দরের ৩১ নম্বর শেড (পণ্য গুদাম) থেকে উন্নত মানের পাথরের এই চালানটি জব্দ করা হয়।

 

এখানে প্রায় কোটি টাকা শুল্কফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জব্দকৃত পাথরের আমদানিকারক যশোরের হোটেল জাবের প্যারাডাইস লিমিটেড। যার মালিক যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার বলে জানা গেছে।  

পণ্যের কাগজপত্র জমা দিয়ে ছাড় করছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেঙ্গল এজেন্সি। বাংলাদেশ-ভারত ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার অব কমার্সের সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের কর্মচারী তারা। এই আমদানি পণ্যের এলসি নম্বর ১৮৮৫১৬০১০৩১৭।

কাস্টমস শুল্কগোয়েন্দা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,  হোটেল জাবের প্যারাডাইস লিমিটেডের নামে ৭ নভেম্বর ভারত থেকে সেলেট স্টোন নামে ১৩০ মেট্রিক টন পাথর আমদানি করা হয়। যার মেনিফেস্ট নম্বর ৫১৩০৩/৬। আমদানি পণ্যের দাম ৩৯ হাজার ৪০ ডলার। যার শুল্ক পরিশোধ করা হয় ১১ লাখ ৬৯ হাজার ২১৮ টাকা।  

পরে কাস্টমস সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হারুনর রশিদ ও খন্দকার মেজবা উদ্দিনসহ কয়েকজনের স্বাক্ষরে পণ্যটি ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে খালাস করছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সি। এসময় কাস্টমস গোয়েন্দা সদস্যরা খবর পায় যে মিথ্যা ঘোষণায় শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য চালান খালাস হচ্ছে। পরে বন্দরে গিয়ে খালাস হওয়া পাথরসহ ১০টি বাংলাদেশি ট্রাক জব্দ করে তারা।  

এদিকে, আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী তাজমুল হোসেনের দাবি, সঠিক নিয়মে চালানটি শুল্ক পরিশোধ করেই আমদানি করা হয়েছে। খালাসের সময় সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অযথা পণ্য আটকে হয়রানি করছে।  

অপরদিকে, আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী দুইজনেই প্রভাবশালী। এজন্য পাথর জব্দকারীরা আতঙ্কের মধ্যে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস কর্মকর্তা।  

আমদানিকারকের মালিকের নাম জানতে চাইলে পরে জানাচ্ছি বলে সবাই এড়িয়ে যান।  


বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক গোলাম রসুল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলানিউজকে জানান, শুল্কফাঁকির অভিযোগ পেয়ে ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে পুনরায় পণ্য পরীক্ষা করা হবে। এতে অনিয়ম পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী সিঅ্যান্ডএফ ও আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মারুফুর রহমান জানান, অনিয়মের বিষয়টি কাস্টমসের তিনটি সংস্থ্যা নজরদারী করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬
এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।