ঢাকা: দশ কোটি টাকার লাইফ ফান্ডে দেড় কোটি টাকার অবৈধ বিনিয়োগ রয়েছে বিমা খাতের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সূত্র জানায়, কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড অর্থাৎ পলিসি হোল্ডারদের মোট বিমার টাকার পরিমাণ ১০ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
অথচ নিয়ম অনুসারে বিনিয়োগ করতে চলতি বছরে তিনবার ডেকে এনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে আইডিআরএ। তাদের চাহিদা অনুসারে তিন দফা সময়ও বাড়িয়েছে।
কিন্তু তারপরও বিমা আইন অনুসারে জীবন বিমা পলিসি হোল্ডারদের মেয়াদ পূর্তিজনিত দায়ের ৩০ শতাংশ সরকারি বন্ড ও অনান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানছে না কোম্পানিটি। বরং আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।
এজন্য কোম্পানিটির অনিয়ম দূর করতে গত ২৬ অক্টোবর আইডিআরএতে কোম্পানির সিএফও এবং ইনভেস্টমেন্ট কমিটির প্রধানের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান, চার সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানটিকে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি বন্ড এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হলে বিমা আইন-২০১০ এর ধারা ১০ এর (ঘ) ও (ছ) উপধারাসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটি সরকারি বন্ড ও অনান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানছে না। তাই কোম্পানিকে সতর্ক করা হয়েছে। শেষবারের মতো আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ পরিপূর্ণ করতে না পারলে নিয়ম অনুসারে শাস্তি পেতে হবে।
সূত্র জানায়, বিমা আইন-১৯৩৮ অনুসারে কোম্পানিকে তাদের সংগৃহীত প্রিমিয়ামের ৩০ শতাংশ সরকারি বন্ড ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। বাকি ৭০ শতাংশ ব্যাংক, পুঁজিবাজারসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে। এ আইন পালনের জন্য সোনালি লাইফকে গত ১৯ এপ্রিল, ০৫ জুন ও ০৬ সেপ্টেম্বর তিন দফা বৈঠকের পর সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু কোম্পানিটি তা পালন করেনি।
প্রতিষ্ঠানের এমডি অজিত চন্দ্র আইচ মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে দেড় কোটি টাকা আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে। আর বাকি দেড় কোটি টাকা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বিনিয়োগ করবো’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
এমএফআই/এএসআর