সোমবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে খুলনা উন্নয়ন মেলা-২০১৭। তিন দিনব্যাপী মেলা শেষ হবে বুধবার (১১ জানুয়ারি)।
মেলায় প্রায় ১১০টি স্টলে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থাকে উন্নয়ন সেবাগুলো প্রদর্শন করতে দেখা যায়। জনসেবায় উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রদর্শনে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
প্রত্যেকটি স্টল ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। স্টলগুলোতে সাধারণ লোকজনের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় বেশি। কেউ কেউ স্টলগুলোর সামনে সেলফি তুলছেন।
মেলা পরিদর্শনে আসা খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে তুলে ধরা হচ্ছে এ মেলায়। সর্বস্তরের জনগণকে সরকারের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যেই মেলার আয়োজন। বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের সমাগমে খুলনা সার্কিট হাউজের এ উন্নয়ন মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে।
এদিকে মেলায় বর্তমান সরকারের বিগত ৭ বছরে খুলনায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অসংখ্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে তা তুলে ধরা হচ্ছে।
তাতে দেখা যায়, গণপূর্ত-১ হাসপাতাল ভবন-১৩টি, থানা ভবন সংস্কার ৬টি, ৠাব কমপেক্স ৭টি, নতুন পাসপোর্ট অফিস, সিজেএম আদালত ভবন, নতুন সার্কিট হাউজ নির্মাণসহ মোট ৪০টি নতুন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। গণপূর্ত-২ বিভাগের জেলা পুলিশ ও কেএমপি’র ছয় তলা ব্যারাক, নতুন খালিশপুর থানা ভবন, রেঞ্জ রিজার্ভে চারতলা ব্যারাক, কয়রায় নতুন থানা ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
এছাড়া নতুন জেলা কারাগার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
খুলনা জেলা পরিষদ প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির উন্নয়ন, ঈদগাহ, এতিমখানা, কবরস্থান স্থাপন ও উন্নয়ন করেছে। আরো ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে গল্লামারী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, কম্পিউটার ল্যাব নির্মাণ, ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনে সহায়তা ছাড়াও দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করেছে।
এলজিইডি খুলনার তত্ত্বাবধানে পাকা রাস্তা ৮৮৪কি.মি, ব্রিজ-কালভার্ট ১৭৯৭ মি, সাইক্লোন শেল্টার ৫৩টি, প্রাইমারি স্কুল ৩৪৩টি, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ৬টি, ইউপি কমপ্লেক্স ১৭টি, উপজেলা পরিষদ ভবন ১টি, উপজেলা সার্ভার স্টেশন ১টি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ওজোপাডিকো লি. এর গৃহীত পদক্ষেপে গ্রাহক বেড়েছে ৩,৮২,২৭৮ জন, সিস্টেম লস কমেছে ২.২৪ শতাংশ, নতুন ৩৩ কেভি লাইন স্থাপন ১৯৮ কি.মি, নতুন ১১ ও ০.৪ কেভি লাইন ১৩২৩ কি.মি, ১৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধিসহ ৬৬৯টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে।
এছাড়া বৃহৎ প্রকল্পের মধ্যে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা ও বেনাপোল আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক খুলনা জেলা স্টেডিয়াম নির্মাণ, ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও বিভাগীয় শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ, ২৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (খুলনা ওয়াসা) বাস্তবায়নাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস