বুধবার (৪ অক্টোবর) হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত 'পোশাক শিল্পের বর্তমান ও করণীয়' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কিছু মানুষ আছি, যারা বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে আমাদের দেশের বদনাম করে দেশকে ছোট করছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরা নিজেদের ইমেজ নষ্ট করছি। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। ইউরো-এশিয়া ইকোনমিক কমিশনে প্রাথমিক বৈঠকে আমরা আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পোশাকে ডিউটি ফ্রি সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করবো। আমরা পোশাকখাতে নতুন মার্কেট খুঁজছি। রানা প্লাজা ধ্বসের পর কিছুটা ইমেজ সংকট ছিলো। এটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। ’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা রাশিয়ায় যান। সেখানে নতুন নতুন বাজারের সন্ধান করেন। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। ’
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। পোশাকখাতের সবথেকে বড় শক্তি শ্রমিকরাই। তাদের সঙ্গে যদি মালিকরা খুবই বন্ধুসুলভ আচরণ করে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। আর এখাতে আরও উন্নতি করার প্রধান হাতিয়ার দেশের শ্রমিকরাই বলে মন্তব্য করেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পোশাকশিল্পে শ্রমিক-মালিকের সম্পর্কের উন্নয়ন ছাড়া সফলতা সম্ভব নয়। তাছাড়া এখাতে নেতিবাচক প্রচারণাও রয়েছে। তবে আগের তুলনায় অনেকাংশে নেতিবাচক প্রচারণা কমেছে। ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের আরও আন্তরিক হতে হবে। একথা আমি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ’
তৈরিপোশাক খাত নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের (ব্যবসায়ী) উপস্থাপনা অনুসারে এ খাতটি শোচনীয় পর্যায়ে এসেছে। কিন্তু গার্মেন্টস খাত শোচনীয় পর্যায়ে আসেনি। বর্তমান সময়ে অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে খাতটি। দ্রুত সময়ে এগুলো সমাধান করতে হবে। ’
বৈঠকে গভির সমুদ্র বন্দর সম্পর্কে ব্যবসায়ী নেতাদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশে সমুদ্র বন্দরে ১৩টি জেটি ছিলো। বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ২০টি, যার পাঁচটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
ক্রেন সংগ্রহ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, টেন্ডার দিয়েও ২০১৪ সালে আমরা নতুন ক্রেন আনতে পারিনি। চারটি ক্রেনের মধ্যে এখন সচল দু'টি, বাকিগুলো জাহাজের ধাক্কায় নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত এগুলো মেরামত করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
নতুন ক্রেন কেনা প্রসঙ্গে নৌ-মন্ত্রী বলেন, আরও ছয়টি ক্রেন প্রকল্পের আওতায় কেনা হবে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে নৌ-মন্ত্রণালয়। আশা করছি দ্রুত আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রেন কেনা হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা এগুলো করতে পারবো।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
এমএএম/এমআইএস/এএটি/এমআরপি