বন্যা পরবর্তী সমস্যা কাটিয়ে উঠে নতুন করে ফসলি ঋণের সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নয়টি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে ২০১৬ সালের আগস্ট মাস থেকে বিভিন্ন সময় ৭ হাজার ২০৩ জন কৃষককে ২৮ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৪১৩ টাকা বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে একটি আবেদন করেছেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা প্রায় ৩০ কোটি টাকার ঋণ মওকুফের একটি আবেদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
উল্লেখিত নয়টি এনজিওর মধ্যে তিনটি জেলায় আশা’র বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ৭২ লাখ, ১৯টি জেলায় ব্যুরো বাংলাদেশ বিতরণ করেছে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, চারটি জেলায় সিডিআইপি বিতরণ করেছে ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, জিইউকে সাতটি জেলায় বিতরণ করেছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, জেসিএফ দুটি জেলায় বিতরণ করেছে ২৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, এমএসএস চারটি জেলায় বিতরণ করেছে ৭৭ লাখ ১২ হাজার টাকা, আরডিআরএস তিনটি জেলায় বিতরণ করেছে ১৫ কোটি টাকা, সাজেদা ফাউন্ডেশন একটি জেলায় বিতরণ করেছে ৩ কোটি টাকা ও এসকেএস তিনটি জেলায় বিতরণ করেছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় ঋণ গ্রহীতা কৃষকদের মাঠের ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঋণের টাকা পরিশোধ ও জীবিকা নির্বাহে মারাত্মক সমস্যার সম্মখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের। বন্যা পরবর্তী ফসল উৎপাদনের জন্য তাদের নতুন ঋণের প্রয়োজনীয়তাও তীব্র হবে। এ পরিস্থিতিতে বিপন্ন ঋণ গ্রহীতাদের সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করা হলে কৃষকদের দুর্দশা বহুলাংশে লাঘব হবে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের ২০ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ঋণের একটি বড় অংশ বিতরণ করা হয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এনজিওর মাধ্যমে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণত এনজিওর মাধ্যমে ঋণ নেয় বর্গাচাষিরা। এবারের বন্যায় কৃষকদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সরকার এসব কৃষকদের ঋণ মওকুফ করলে তাদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এসই/এমজেএফ