ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দরের তাণ্ডব!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দরের তাণ্ডব! বাজারে সবজির দোকানে সাজিয়ে রাখা পেঁয়াজ; ছবি- সুমন

ঢাকা: বছর জুড়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ভুগিয়েছে ক্রেতাদের। সবজি,চাল,মাছ ও মাংসের দাম বছর জুড়ে দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বছরের শেষ মাসে এসে দরের তাণ্ডব দেখাচ্ছে পেঁয়াজ ও চাল। ফলে ভুগছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও।

পেঁয়াজের দাম অনেক আগেই ১০০ ছাড়িয়েছে আর আমন ধানের নতুন চাল বাজারে আসার পরেও ৩ প্রকার চালে কেজিপ্রতি মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ২-৩ টাকা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুল ও মিরপুর ১০ নাম্বার কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

পেঁয়াজের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি করে।

পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে মিরপুর ১০ নাম্বার কাঁচাবাজারের পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা সারোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি তাই এর প্রভাব দেশেও দেখা যাচ্ছে। তবে সঠিক কোনো সময়ে এসে দাম কমবে তা বলতে পারছি না।

এছাড়া সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৬২ টাকা। বিআর-২৮ চাল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা এবং স্বর্ণা ও পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৪২-৪৩ টাকা।

চালের দামের বাড়তি সম্পর্কে হাতিরপুল বাজারের চালের খুচরা বিক্রেতা হুমায়ুন বাংলানিউজকে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী চালের যোগান কম। আমন ধান প্রায় ৪০ শতাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। বোরো ধান না ওঠার আগে দাম কমার কথা চিন্তাই করা যায় না।

হাতিরপুল বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা লিটন বাংলানিউজকে বলেন, এতো দিন ভুগিয়েছে সবজি আর পেঁয়াজ, এখন যন্ত্রণা শুরু করেছে পেঁয়াজ ও চাল। এই মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা আর কত দিন। বাজারে আসলে দাম শুনেই মন খারাপ হয়ে যায়। এছাড়া আগের মতোই দাম রয়েছে অন্য সকল পণ্যের দাম। বাজারে চালের দোকানে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন প্রকার চালের নমুনা ; ছবি- সুমন সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি ধনিয়াপাতা ৬০ টাকা, বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, সিম ৩০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ৬০ টাকা ও দেশি টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, আলু ২০ টাকা,প্রতি পিস বাঁধাকপি ২০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ২০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দুই আটি লাল শাক ১৫ টাকা ও দুই আটি পালং শাক ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা,চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ মাংসের  দাম। মাছের সর্বশেষ বাজার দর অনুযায়ী প্রতি কেজি কাতল মাছ ২৪০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা, রুই মাছ ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিংমাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার রয়েছে গত সপ্তাহের দরে অনুযায়ী। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগী ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর  ১৫, ২০১৭
এমএসি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।