বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৩’ প্রদান অনুষ্ঠান তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া শেখার পর অনেকে জমিতে যেতে চায় না।
কৃষি জমিতে জৈব সার ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো জমি অনাবাদী রাখবেন না। বাংলাদেশের মাটি সোনার মতো খাঁটি। এখানে একটা বীজ ফেললে চারা ওঠে।
গবেষণার সফলতায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ খাতে আরও বেশি গবেষণার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই গবেষণা ও প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের কৃষকরা ধান উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছেন। সেজন্য ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থান লাভ করেছে বাংলাদেশ।
কৃষি জমিতে নির্বিচারে শিল্পায়ন না করারও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চালু করা ‘কৃষি বাতায়ন’ ও ‘কৃষক বন্ধু ফোন সেবা’র কথা উল্লেখ করেন। বলেন, এখন কোনো কৃষক চাইলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে তার কৃষিকাজ করতে পারবেন।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে কৃষিখাত পিছিয়ে পড়েছিল। সার চাওয়ায় কৃষককে হত্যা করেছিল বিএনপি সরকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কৃষকের ঘরে ঘরে সার পৌঁছে দিয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণে রূপান্তর করেছে। এ দেশে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না।
৩২ জনকে এবারের জাতীয় কৃষি পুরস্কারের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে। বাণিজ্যিক খামার, কৃষি সম্প্রসারণ ও গবেষণা এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ ১০টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় এ পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ/
** সার চাওয়ায় কৃষককে গুলি করে মারে বিএনপি