বুধবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলেন তিনি এসব কথা জানান।
মুহিত বলেন, ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশের সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে যে শর্ত দরকার, তা পূরণ করায় আবেদন করার যোগ্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্য দিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হল।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতিতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি দেয় ১৭ মার্চ। এরপর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ মিশন ১৭ মার্চ বাংলাদেশকেদেওয়া এই স্বীকৃতির চিঠি গ্রহণ করে।
অর্থমন্ত্রী জানান, এ স্বীকৃতি সনদ মঙ্গলবার দেশে এসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তা হস্তান্তর করা হবে।
উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিতে ৭ দিন ধরে উদযাপন করা হবে। ২০ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত উৎসব চলবে। ২২ মার্চ সকালে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা,বিকেলে রাজধানীর ৯টি অঞ্চল র্যালি যাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে; হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সপ্তাহে সরকারের সব দফতর বা বিভাগ একটি সেবা ফ্রি দেবে।
১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক (ইভিআই)- এই তিন শর্ত পূরণ করতে হয়, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পূরণ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এসএইচ