বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে বিবিএস-এর দেওয়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে প্রশ্ন ও সংশয় আছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সোমবার (০৯ এপ্রিল) শেরে বাংলা নগরে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট ২০১৮’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সংস্থাটির মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এ সংশয় প্রকাশ করেন। সংস্থাটির ঢাকা অফিসের প্রধান চিমিয়াও ফান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন এ মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিবিএস-কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আসলে এর সমপর্যায়ে কেউ নেই। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে তথ্য দিয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ও প্রশ্ন আছে। বিবিএস সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, বিষয়টা এমন নয়।
তিনি আরও বলেন, এটা ব্যতিক্রর্মী প্রবৃদ্ধি, আগামীতে এই নিয়ে ঝুঁকি দেখা দেবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও সেইভাবে কর্মসংস্থান বাড়েনি। চলতি বছরে শহরগুলোতে তিন লাখ দরিদ্র বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচন যেভাবে হওয়ার কথা তা হয়নি।
জাহিদ হোসেন বলেন, বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫ অথবা ৬.৬ শতাংশ। আমাদের আয়ের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ এবং কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ২ শতাংশ। আয় ও কর্মসস্থানের প্রবৃদ্ধির চিত্র যদি এমন হয় তবে বছর শেষে সাড়ে ৬ শতাংশের বেশি হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ