হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর সমাগম না থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি গরু। যা নাগালের বাইরে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।
শনিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলের দিকে ভোলার কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে জেলার সাত উপজেলায় ২০টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এতে হাটে রোগাক্রান্ত গরুর উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. মোহাম্মদ আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, এ জেলায় কোরবানির জন্য গরুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ, কিন্তু হাটে গরু রয়েছে প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার। এছাড়া মেডিকেল ক্যাম্প থেকে হাটে আসা প্রতিটি গরু নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যাতে কেউ ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করে হাটে নিয়ে আসতে না পারে।
জানা যায়, জেলার সাত উপজেলার স্থায়ী ৫০টি ও অস্থায়ী ২১টি হাটে কোনো চাঁদাবাজি নেই। কিছু কিছু হাটে বসানো হয়েছে জাল টাকা শনাক্তকরন মেশিন। হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ইজারাদারদের নিরাপত্তায় তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
হাট সূত্রে জানা যায়, বিগত বছর কোরবানির ঈদে পশুর দাম কিছুটা কম থাকলেও এবছর দাম একটু বেশি। হাটে ভালো মানের স্বাস্থ্যবান গরু লাখ টাকার ঊর্ধ্বে বিক্রি হচ্ছে। হাটগুলোতে দেশি গরুর ব্যাপক সমারোহ থাকায় ইচ্ছে মতো দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
জেলার ছোট-বড় হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে সরগরম। হাটে চাহিদা অনুযায়ী গরু সরবরাহ থাকলেও দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ভোলার বড় হাটগুলোর মধ্যে ভেলা, গজারিয়া, ইলিশা, পরানগঞ্জ, বাংলাবাজার, ঘুইংগারহাট, লালমোহন, দৌলতখান, চরফ্যাশন ও বোরহানউদ্দিন পশুর হাট অন্যতম।
পরানগঞ্জ পশুর হাটে গরু কিনতে আসা শামিম বাংলানিউজকে জানান, হাটে গত বছর যে গরুর দাম ছিল ৭০ হাজার টাকা, এবছর সে গরু বিক্রি হচ্ছে লাখ টাকার ওপরে।
এ হাটে আসা ক্রেতা মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গরুর দাম অনেক বেশি। এক শ্রেণীর পাইকার-দালাল গরুর মালিক থেকে গরু কিনে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এ বছর হাটে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশীয় গরুর দাম অনেক বেশি।
মেজবাহ উদ্দিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে গরু থাকলেও বেচা-কেনা জমেনি। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে গরু দেখছেন। আবার অনেকেই সাধ্যের মধ্যে গরু কিনছেন।
পরানগঞ্জ হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, হাটে চাঁদাবাজি বা হয়রানি নেই। বিক্রেতারা নিবিঘ্নে গরু বাজারে নিয়ে আসতে পারছেন। তবে জাল নোট শনাক্তকরণের কোনো মেশিন না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোকতার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভোলা জেলার প্রায় পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন বসানোর পাশাপাশি তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ইজারাদারদের নিরাপত্তায় পুলিশ ফোর্স মাঠে কাজ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
জিপি