অন্যদিকে বাজারে ইলিশের ব্যাপক উপস্থিতির প্রভাব পড়েছে অন্য মাছে। ইলিশের দাম কম হওয়ায় অন্য মাছের দামও কমেছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, মতিঝিল টি অ্যান্ড টি বাজার ও ফকিরাপুল বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। যা দুইদিন আগে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশ ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। এক থেকে সোয়া কেজির ওজনের ইলিশের জোড়া ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা চাইছেন বিক্রেতা। আর ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি চাওয়া হয় ৪০০ টাকা।
এসব বাজারে পাবদা মাছ প্রতিকেজি ৩৬০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। যা দুইদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। শিং মাছ ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। শিং মাছ দুই দিন আগের তুলনায় কেজিতে কমেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। দাম কমেছে সব ধরনের চিংড়ির। এসব বাজারে প্রতিকেজি বাগদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে, হরিণা চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোট দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে রুই প্রতিকেজি চাওয়া হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, কাচকি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, নলা মাছ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাছের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় খুশি ক্রেতারা। আনোয়ারা বেগম নামে মালিবাগ বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, আজ বাজারে এসে দাম শুনে খুব ভালো লাগছে। সব মাছের দাম কম চাওয়া হচ্ছে। ইলিশের দাম খুবই কম। তিনি বলেন, দাম কম হলে আমাদের চাহিদাও থাকে। এখন বাজারে মাছের দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে, বছরের অন্য সময়েও এমন দাম থাকা দরকার।
ইলিশ মাছ বিক্রেতা আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখন পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ আছে, তাই দাম কম। আমরা কম দামে এনে কম দামেই বিক্রি করছি, ক্রেতাও ভালোই কিনছেন।
আরেক মাছ বিক্রেতা অনু বলেন, এখন বাজারে ইলিশের দাম কম হওয়ায় অন্য মাছের চাহিদা কম। তাই মাছের দাম তুলনামূলক কম। ইলিশের দাম বেড়ে গেলে অন্য মাছের দামও বেড়ে যাবে বলে বাংলানিউজকে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
ইএআর/জেডএস