তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত মজুরি মালিক-শ্রমিক সবপক্ষ মেনে নিলেও কিছু শ্রমিক নেতা, এনজিও এবং দুষ্কৃতিকারীরা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্পের ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নামের একটি সংগঠন বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া তথ্য সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি করে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে। তথাকথিত এ সংগঠনটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ খাতকে অস্থির করার পাঁয়তারা করছে। এই ঔদ্ধত্য তারা কোথায় পেলো?
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গত আট বছরে (২০১০-২০১৮) পোশাক শিল্পের মজুরি বৃদ্ধির হার ৩৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। কারখানা সংস্কার, মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা কারণে গত চার বছরে (২০১৪-২০১৮) প্রায় ১২শ’ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের আশঙ্কা ভবিষ্যতে এ হার আরও অনেক হবে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর সরকার ৫ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করেছিল। সেই হারে শ্রমিকরা এখনও বেতন পাচ্ছেন। তবে কয়েক বছর ধরে ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি করে আসছেন শ্রমিকরা। এর বিপরীতে শিল্প মালিকরা ৬ হাজার ৩৬০ টাকা করার প্রস্তাব করেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি শ্রমিক ভাই-বোনদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা করার পক্ষে মতামত দিয়েছিল।
সবপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সরকার দেশের প্রধান রফতানি খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, মঈনুদ্দিন আহমেদ, মাহমুদ হাসান খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
ইএআর/জেডএস