বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ২৮ কোটি ৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দেড় কোটি ডলার।
রেমিটেন্স পাঠানোর শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে সৌদি আরব ছাড়া অন্যগুলো হচ্ছে- আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ওমান, যুক্তরাজ্য, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন। বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এ বৈদেশিক মুদ্রা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রবাসী আয় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। জনগণকে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এসব কারণে রেমিটেন্স বেড়েছে।
আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে পণ্য আমদানি বাড়ার কারণে বাজারে এখন ডলারের চাহিদা বেশি। সে কারণে ব্যাংকগুলো তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই রেমিটেন্স আনতে বেশি আগ্রহী।
অন্যদিকে বর্তমানে বেশি টাকা পাওয়ার কারণে প্রবাসীরাও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ১ হাজার ৪১ কোটি ৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একইসময় পাঠিয়েছিলেন ৯৪৬ কোটি ১২ লাখ। এ হিসাবে ৮ মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এসই/আরবি/