আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, চিকন চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল ও গরু মাংসের দাম।
শুক্রবার (০৩ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, মগবাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধুন্দল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল (ছোট) ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল (বড়) ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ও উস্তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুর লতি (ছোট) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি (বড়) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আলুর দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, ছোট আলু ৪৫ টাকা। কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো (ছোট) ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো (ফ্রেশ) বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে কলা, বড় কচু, লেবু, পুদিনা পাতা, লাউ, জালি কুমড়ার দাম।
সবজির দাম বাড়লেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক। বর্তমানে এসব বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) কচু শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁই শাক ২০ টাকা মোড়া বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজিদরে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, প্রতিকেজি রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
বর্তমানে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৬০ টাকা, বাসমতী ৬০ থেকে ৬২ টাকা, গুটি চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম ৪৬ টাকা, স্বর্ণা ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, আঠাশ চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, আতোপ চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, মোটা চাল ৪২ টাকা, এক সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা।
প্রতিকেজি ডাবলী ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাঙ্কার ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা।
সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ভিন্নমত দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। ক্রেতারা বলছেন বাজারে সবজির ঘাটতি না থাকলেও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে সবজির সিজন না হওয়ায় দাম বাড়তি রয়েছে।
এ বিষয়ে টিঅ্যান্ডটি বাজারের ক্রেতা আসলাম জানান, বাজারে সবজির কোনো ঘাটতি নেই। তাহলে কেন দাম বাড়বে? ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়াচ্ছেন।
এদিকে ক্রেতার সঙ্গে একমত নন এ বাজারের বিক্রেতা জামান। তিনি বলেন, বর্তমানে সবজির সিজন না হওয়ায় দাম বাড়তি। পাইকারি বাজারে বাড়তি দাম হলে আমাদের এখানে দাম বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
ইএআর/আরআইএস/